সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেছেন, সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার চলমান হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ পরিদর্শন করেছি। অনেক জায়গাতেই মাটি ভরাট কাজ চলছে। তবে কমপ্কেশন ঠিক মত হচ্ছে না, স্লোব ও ঠিক নেই।
তিনি মনিটরিং জোরদার করে এসব কাজ সম্পন্ন করারও আহবান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন ও মনিটরিং জেলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বিভিন্ন ক্লোজারগুলো পরিদর্শন করার জন্য আলাদাভাবে এডিসিদের সমন্বয়ে বিশেষ কমিটি করে দিয়েছি। আগে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে পরে সমাধান করতে হবে। যেগুলোর কাজ বেশী গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো আগে করার ও পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, হাওরের জীববৈচিত্র্য বজায় রেখেই বাঁধের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। ভবিষ্যতে কিভাবে স্থায়ী সমাধান করা যায় সেটি চিন্তা করতে হবে এখনই। তিনি পিআইসির দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পরিশোধ করলে কাজের গতি আরও বৃদ্ধি পাবে তাই বিল পরিশোধ করার ও আহবান জানান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার (১), নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদুল হক (২) বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান,নূরুল মোমেন, সুনামগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, মহিলা পরিষদের সভাপতি গৌরি ভট্টাচার্য, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোস্তফা আজাদ. ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়ক একে আজাদ, এনজিও কর্মী কাশ্মীর রেজা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ জেলার ১২ উপজেলার ৭৩৪টি পিআইসির মাধ্যমে ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ চলমান আছে। এ পর্যন্ত ৬৩.৫০ ভাগ কাজের অগ্রগতি হয়েছে বলে সভায় দাবী করা হয়।