সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ এমসি (মুরারি চাঁদ) কলেজে শিক্ষক সংকট, হলের পানি সমস্যার সমাধানসহ বিভিন্ন দাবিতে কলেজের অধ্যক্ষসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক সংকট, ছাত্রাবাসের বঙ্গবন্ধু হলের পানি সমস্যা ও ছাত্রী নিবাসের নাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নামকরণের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসলেও কোনো সমাধান না আসায় বিকেল থেকে তারা প্রশাসনিক ভবনের অবস্থান নেন।
আন্দোলরত ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আহমদ বলেন, আমরা দুপুর থেকে প্রায় তিনঘণ্টা কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছি। তারা আমাদের কোনো সমাধান দিতে পারেননি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের যৌক্তিক দাবি মানা না হলে আমাদের অবস্থান থেকে আমরা সরে যাব না।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী দিলোয়ার হোসেন রাহী বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ইতিহাস বিভাগে শিক্ষক সংকট রয়েছে। এই বিষয় নিয়ে আমরা অধ্যক্ষকে বারবার অবহিত করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এছাড়াও বিভিন্ন হলের পানি সমস্যা নিরসনের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেছে। আশা করি কলেজ প্রশাসন দ্রুত এই সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নেবে।
এব্যাপারে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম মো. রিয়াজ জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা যেসব বিষয়ে আন্দোলন করছেন তার সমাধান দীর্ঘস্থায়ী। ছাত্রাবাসে পানি সংকট সমাধানের জন্য একটা লাইন ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। আর শিক্ষক সংকট সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আলাপ করেছি।
তিনি বলেন, আজ ছাত্রদের সঙ্গে আমি বৈঠক করেছি। সব সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে তাদেরকে বলেছি। এতো কিছুর পরও তারা (আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা) তালা মেরে রেখেছে। আমার আর কি করার আছে! কিছুদিন সময় দিতে হবে।
তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত ৮টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছেন। তাদের সাথে অধ্যক্ষসহ শিক্ষকদের বৈঠক চলছে।
অপরদিকে সাধারণ ছাত্রছাতীদের আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। এছাড়া কলেজের মূল ফটকের সামনে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন আছে এবং মিডিয়াকর্মীদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।