সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। আর স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলতে অভিভাবক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অপরিহার্য।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি, উন্নতি ও অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব হয়েছে। আমাদের ক্লিন সিলেট-গ্রিন সিলেট প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে, মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথে শিক্ষার্থীরাই রক্ত দিয়েছিলেন। আজকের শিক্ষার্থীরাই আমাদের আগামী দিনের সম্পদ।
বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে মইনউদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রধান ফটক, মাঠ ও শহিদ মিনার করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, ‘আমার প্রতিশ্রুতি আমি রাখবো। কিন্তু তোমাদেরকেও প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে, যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলবে না এবং অন্য কাউকেও ফেলতে দেবে না। তবেই আমাদের সিলেট শহর সুন্দর ও আলোকিত হবে।’
মইনউদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবিদুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কলেজ পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির, বিশিষ্ট সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন ও সিসিকের কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ।
সহকারী অধ্যাপক রহিমা বেগম ও প্রভাষক আলমগীর হোসেনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বার্ষিক ক্রীড়া সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক আজির উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মইনউদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক কৃষ্ণপদ সূত্রধর ও শিক্ষক পর্ষদের সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী। শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাইশা রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. আহমদ আল কবির বলেন, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কর্মীবান্ধব শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানোর বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদেরকে পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। মইনউদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন প্রভাষক সায়মা আক্তার। শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বুশরা, গীতা পাঠ করেন শিক্ষার্থী প্রথমা দাস, লোকগান পরিবেশন করেন শিক্ষার্থী পূর্ণিমা রাণী সূত্রধর ও দলীয় নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন রাহনুমা নুড়াইন অনতি ও সাদিয়া আক্তার শিমা।