বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা। বহু গুণে গুণান্বিত হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন বহু মানবিক গুণেরও অধিকারী। তার সেই সরল হৃদয় ও মানবিক গুণের নানা দিক তুলে ধরে ‘আমার হুমায়ূন স্যার’ বই লিখেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ডা. এজাজ।
স্মৃতিচারণামূলক এ বইটিতে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে নিজের কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো সাবলীল ভঙ্গিতে বর্ণনা করেছেন। বইটি প্রকাশ করেছে সময় প্রকাশন। বইমেলায় নিজ হাতে অটোগ্রাফসহ পাঠকদের হাতে বই তুলে দিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি ভক্ত-অনুরাগীদের নানা আবদার মেটাতেও ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় এ অভিনেতাকে।
হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে ডা. এজাজের অনেক স্মৃতি। ১৬০ পৃষ্ঠার ‘আমার হুমায়ূন স্যার’ বইয়ে নিশ্চয়ই সবকিছু তুলে আনা সম্ভব হয়নি। স্মৃতিগুলো নিয়ে আরও লেখার ইচ্ছা আছে কি না, এমন প্রশ্নে ডা. এজাজ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি লিখে যাবো। স্যারকে নিয়ে বছরে অন্তত একটা করে বই লিখবো। স্যারের সুন্দর সুন্দর স্মৃতিগুলো নিয়ে কাজ করবো। মানুষকে জানাতে লিখবো, চেষ্টা করে যাবো।’
হুমায়ূন আহমেদের লেখা বইগুলো এখনো তুমুল জনপ্রিয়। তার মধ্যেই তাকে নিয়ে নিজেই বই লিখে ফেললেন। কোনো দায়বোধের জায়গা থেকে কি না—এমন প্রশ্নে ডা. এজাজ বলেন, ‘হ্যাঁ, স্যারকে সবাই চেনেন। তার উপন্যাস সম্পর্কে সবাই জানেন, নাটক-চলচ্চিত্র সম্পর্কে জানেন। মানুষ হুমায়ূন আহমেদ, তার যে মানবিক কাজগুলো, মানবিক হৃদয়, মানুষকে উপকার করার তাড়না; সেসবের প্রায় সব কাজে আমি সাক্ষী।’
তিনি বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ স্যারের সঙ্গে আমার অনেক দিনের পথচলা। এক যুগেরও অনেক বেশি। একদম সঠিক হিসাবটাও করতে পারি না। যখন কাজ করার উদ্যম, স্পৃহা বেশি ছিল; তখনকার পুরো সময়টা আমি স্যারের সঙ্গে কাটিয়েছি। তার কাজে সমর্থন করে গেছি। স্যারের যে ভালো ভালো কতগুণ, কতদিক। একজন মানুষ হিসেবে স্যার যে কতটা ওপরে, সেই খবরটা অনেকে রাখেননি, অনেকে জানেনও না। আমার মনে হলো—এগুলো মানুষ জানবে না? আমি হয়তো ওতো সুন্দর করে লিখতে পারবো না। তবে এটা জানানো আমার দায়িত্ব।’