হজ্বের নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হলো আরও পাঁচদিন

পহেলা ফেব্রুয়ারি নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হলেও চতুর্থ ও শেষবারের মতো আরও পাঁচদিনের জন্য বাড়ানো হলো হজ্ব নিবন্ধনের সময়। নতুন সময় অনুযায়ী আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হজ্বের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। এরপর এরপর আর কোনোভাবেই নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজ্বযাত্রী নিবন্ধনের সময় বিশেষ বিবেচনায় শেষবারের মতো আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এসময়ের মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন অথবা নির্ধারিত প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধন করা যাবে।

প্রাথমিক নিবন্ধন করা হলে প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা ২৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যে আবশ্যিকভাবে একই ব্যাংকে জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় এ বছর হজ্বে যাওয়া যাবে না এবং প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) হজ্ব নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে ধর্মমন্ত্রীকে চিঠি পাঠায় দেশের হজ্ব এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাব। সংগঠনটি জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিট পর্যন্ত বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন ৭১ হাজার ৬৮৯ জন। আরও প্রায় ৪ হাজার ১০০ জনের পেমেন্ট ভাউচার পেন্ডিং আছে। এ ছাড়া গত ৩১ জানুয়ারি হজ্বযাত্রী নিবন্ধন সার্ভার ডাউন থাকার কারণে অনেক হজ্বযাত্রীর নিবন্ধন করা সম্ভব হয়নি।

এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো বাড়ল হজ্ব নিবন্ধনের সময়। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর এবারের হজ্ব নিবন্ধন শুরু হয়। প্রথম দফায় সময় বাড়ানো হয় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়। তারপর তৃতীয় দফায় ২৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে হজ্ব নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত সাড়া না মেলায় আবারও বাড়ল হজ্ব নিবন্ধনের সময়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ্বে যাবার কোটা থাকলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৭৯ হাজার ৮৬২ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ১৬৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৫ হাজার ৬৯৭ জন নিবন্ধন করেছেন। সে হিসাবে এখনো কোটা খালি রয়েছে ৪৭ হাজার ৩৩৬টি।