গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলায় সোমবার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে তহবিল থেকে ২৫ কোটি ২২ লাখ ছয় হাজার ৭৮০ টাকা লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) এই চার্জশিট ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দাখিল করার কথা রয়েছে।
দুদকের এই মামলা ও চার্জশিটের বিষয়ে ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ড. ইউনূসকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য, সারা বিশ্বে প্রশংসিত সামাজিক ব্যবসাকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এটি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গতকাল (সোমবার) শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় জামিন পেয়েছি। যেখানে জামিনযোগ্য মামলায় জামিন দেওয়া হয় না, বিভিন্ন কন্ডিশন দেওয়া হয়, সেখানে এইভাবে যেভাবে অপমানিত করা হচ্ছে, সব জায়গায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে এটি অত্যন্ত হৃদয় ভারাক্রান্ত। কারণ, ড. ইউনূসের নিজের কোনো সম্পদ নাই, ব্যক্তিগত কোনো গাড়ি নাই।’
ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, ‘ড. ইউনূসকে জার্মানের একজন ল ইয়ার যিনি কোনো দিন তাকে (ইউনূস) দেখেননি। তিনি তার সমস্ত সম্পত্তি ড. ইউনূসের নামে দান করে দিয়েছেন। উইল করে দিয়ে গেছেন। তিনি সেই টাকা এনে তিনি বাংলাদেশে একটা নার্সিং কলেজ করেছেন। কলোডিয়ান নার্সিং কলেজ। সেখানে মাস্টার্স ডিগ্রি দেওয়া হয়। এই ট্রেনিং যারা নেন সমস্ত নার্সদের আমেরিকা থেকে শুরু করে সারাবিশ্বে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়ায় তো অবশ্যই আমাদের যেতে হবে। ড. ইউনূস আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ওনাকে আমি বলেছি আপনাকে জেলে যেতে হতে পারে, আপনাকে পুলিশ নেবে, আপনাকে রিমান্ডে নেবে। উনি বলেছেন আমি দরিদ্র মানুষের জন্য যে সংগ্রাম করে যাচ্ছি আমি সমস্তটা হাসিমুখে মেনে নেব। আমি তাতে কোনো রকম পিছপা হবো না।’
সেক্ষেত্রে আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে যাবেন কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূসের এই আইনজীবী বলেন, ‘’আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। আইনি প্রক্রিয়ায় যেহেতু মামলা হয়েছে সেটা মেনেই আমাদের আসতে হবে।’
