হাইকোর্টের জামিনে কারামুক্ত হলেন হবিগঞ্জের জনপ্রিয় বিএনপি নেতা ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছ।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এসময় কারাফটকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
কারমুক্ত হয়ে জি কে গউছ বলেন, ১৫৪ দিন বিনা অপরাধে চারটি মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। হাইকোর্টের আদেশে আজ আমি মুক্তি পেয়েছি। আমাদের অসংখ্য মানুষ আজ দেশের কারাগারগুলোতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক গউছ বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য যে আন্দোলনে আমরা ছিলাম, সে আন্দোলনে আমরা আছি। আমাদেরকে আমাদের নীতি থেকে আলাদা করা যাবে না। যত মামলাই আসুক, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে না এনে আমরা কেউ ঘরে ফিরে যাবো না।’
এর আগে, গত ১১ জানুয়ারি বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খাইরুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৯ আগস্ট বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর থানা-পুলিশের করা পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় জি কে গউছের জামিন মঞ্জুর করে।
বিএনপি নেতা জি কে গউছ মোট চারটি মামলায় ১৫৪ দিন কারাগারে ছিলেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে ঢাকায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে গুলশানের বাসায় ফেরার পথে জি কে গউছকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ২০১৫ সালে দায়ের করা সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরকে হত্যা ষড়যন্ত্রের মামলা, হবিগঞ্জে পুলিশের উপর হামলাসহ আরও দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।