যুক্তরাজ্যের প্রাচীনতম খেতাব ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লন্ডন’ সম্মাননা পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সমাজসেবক জামাল খান।
লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী গিল্ড হলে সোমবার (২২ জানুয়ারি) জামাল খাঁনের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁর পরিবারের সদস্য ও ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেক নামকরা মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সিটি অব লন্ডন করপোরেশন ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লন্ডন খেতাব দিয়ে থাকে। ১২৩৭ সালে শুরু হওয়া এই সম্মাননা ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত শুধু ব্রিটিশ ও কমনওয়েলথ নাগরিকদের জন্য ছিল। ১৯৯৬ সালের পর এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রিন্স ফিলিপ, রানিমাতা কুইন এলিজাবেথ, কিং চার্লস, প্রিন্সেস ডায়না, উইনস্টন চার্চিল, ক্লিমেন্ট অ্যাটলি, মার্গারেট থ্যাচার, ফুটবলার হ্যারি কেইন, নেলসন ম্যান্ডেলা, স্টিফেন হকিংসসহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি সিটি অব লন্ডন সম্মাননায় ভূষিত হন।
সম্মাননা পাওয়ার পর জামাল খান বলেন, ‘এই সম্মান কমিউনিটির জন্য উৎসর্গ করলাম। ব্রিটেনের প্রাচীনতম এই সম্মাননা পেয়ে আমি গর্বিত। আমি কমিউনিটি উন্নয়নে যে কাজ করে গিয়েছি সেটা অব্যাহত রাখবো।’
সম্মাননা গ্রহন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সুলতান মাহমুদ শরীফ, শাহগীর বখত ফারুক, আব্দুল আহাদ চৌধুরী, আহবাব হোসেন, আনছার আহমদউল্লাহ, আব্দুল বাছির, গোলাব আলী, ফয়জুর রহমান ফয়েজ, রোহেল আহমদ প্রমুখ।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ বলেন, ‘জামাল খানের এই অর্জন আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। আমরা অবশ্যই গর্বিত। পাশাপাশি বাঙালি হিসেবে এটি সবার জন্য গর্বের। তাঁর অবস্থান থেকে তিনি নিশ্চয়ই বাংলাদেশের সম্মান-মর্যাদা বৃদ্ধিতে কাজ করবেন।’
শহিদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জামাল আহমদ খানের গ্রামের বাড়ি সিলেট জেলার ওসমানী নগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নে। তিনি যুক্তরাজ্যের কমিউনিটির নানা সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার পাশাপাশি যুক্তরাজ্য যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।