সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের কলিধ্রুম গ্রামে হিন্দু ধর্মালম্বীদের শ্মশানের জায়গা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশানের জায়গা দখল করে সেখানে অবৈধভাবে ধান চাষাবাদ করছেন কলিদ্রুম গ্রামের বাজিদ উল্লা। এ বিষয়ে রবিবার (২১ জানুয়ারি) গ্রাম বাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নৃপেন্দ্র দাস।
স্থানীয়রা জানান, পার্শ্ববর্তী ধল আশ্রম গ্রামের মৃত কামিজ উল্লাহর ছেলে বাজিদ উল্লা ২০ বছর পূর্বে কলিদ্রুম গ্রামে কিছু জায়গা কিনে বাড়ি বসতি স্থাপন করেন। এরপর অবৈধভাবে জায়গা দখল করে এখন তিনি বিশাল জায়গার মালিক। তার অবৈধ দখল থেকে রক্ষা পায়নি গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়া প্রভাংশু দাস, দেবেন্দ্র দাস ও বজেন্দ্র দাসের মালিকানা জমি।
কলিদ্রুম গ্রামের বেনুদাস, শিরেষ তালুকদার ও মুকুল দাসসহ গ্রামের লোকজন জানান, তাড়ল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে আমাদের গ্রামের ৭০/৭৫টি হিন্দু পরিবার ১৫৭৪ নং দাগের ৭১ শতাংশ ভুমি শ্মশানের জমি হিসেবে ব্যবহার করে আসছি। ভুমিখেকো বাজিদ উল্লা বহুদিন ধরে আমাদের গ্রামের শ্মশান ঘাটের নির্ধারিত ভুমির অনেক অংশ বলপূর্বক ভোগ দখলে নিয়ে যায়। আমরা বিভিন্ন সময় লাশ নিয়ে সৎকারের জন্য শ্মশান ঘাটে গেলে আমাদেরকে বাধা দেয়, এমনকি প্রাননাশের হুমকিও দেয়। পার্শ্ববর্তী গ্রামের সালীশ ব্যাক্তিদের সহায়তায় আমরা লাশ সৎকার করি। এমনকি শ্মশানের ভুমিতে মাটি কেটে ফসলের জমি তৈরি করে জোরপূর্বক চাষাবাদ করছে। এর প্রতিকার চেয়ে আমরা উপজেলা প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়েছি।
তবে অভিযুক্ত বাজিদ উল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কারো জমি দখল করি নাই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান খোন্দকার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিয়মানুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহমদ বলছেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি, শ্মশানের জায়গা অচিরেই দখল মুক্ত করে দেয়া হবে।