রপ্তানিতে ব্যবহৃত অর্থ ফেরত আনতে এবং আমদানি-রপ্তানিতে ভারসাম্য বজায় রাখতে রপ্তানিকারকদের আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জরুরি ভিত্তিতে আমদানি-রপ্তানিতে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।’
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) মাসব্যাপী ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। খবর ইউএনবির
মুষ্টিমেয় কয়েকটি গন্তব্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে রপ্তানি পণ্যের জন্য নতুন বাজার ও পণ্য অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘এর জন্য আমাদের নতুন পণ্য, নতুন গন্তব্য এবং বিদেশে বাজারের সন্ধান করতে হবে। আমাদের বিশ্বব্যাপী এক বা দুটি বাজারের ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বব্যাপী রপ্তানি পণ্য পাঠাতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের বাধা ও প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হয়।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু তার জন্য আমাদের নতুন বাজার ধরতে হবে, আর আমাদের সময় কম। সর্বোপরি, আমরা যদি একটি লক্ষ্য স্থির করা হয়, তাহলে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়। আমরা এভাবেই কাজ করতে চাই।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পজাত পণ্যকে ২০২৪ সালের ‘বর্ষ পণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেন।