বিপিএলের দশম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত জয় দিয়ে আসর শুরু করেছে দুর্দান্ত ঢাকা।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) আসরের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটের জয়ে আসরে শুভ সূচনা পেয়েছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল।
টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাট করতে পাঠান ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ব্যাট করতে নেমে নড়বড়ে শুরু কুমিল্লার। ইমরুল কায়েসের জায়গায় চলতি আসরে নেতৃত্ব পাওয়া লিটন দাস ওপেনিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ভুগছিলেন। শেষ পর্যন্ত চতুরঙ্গা ডি সিলভার বলে নাঈম শেখের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। সাজঘরে যাবার আগে ১৬ বলে ১৩ রান করেন।
লিটনের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও ইমরুল। দুজনের ১০৭ রানের জুটিতে শক্ত ভিত পায় কুমিল্লা। শেষ পর্যন্ত হৃদয় ফিফটি মিসের (৪১ বলে ৪৭ রান) হতাশা নিয়ে ফিরলেও চলতি আসরের প্রথম ফিফটি হাঁকিয়েছেন ইমরুল কায়েস। তাসকিন আহমেদের বলে শরীফুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৫৬ বলে করেছেন ৬৬ রান।
কুমিল্লার ইনিংসের ২০ তম ওভারে আসরের প্রথম হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েন দুর্দান্ত ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের শেষ তিন বলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের খুশদিল শাহ, রোস্টন চেজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে ফেরান এই পেসার।
ঢাকার হয়ে শরিফুল তিনটি ও তাসকিন দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
১৪৪ রানের মাঝারি মানের টার্গেট তাড়ায় রীতিমতো ঝড় তুলেছেন নাঈম শেখ। তাকে যোগ্য দিয়েছেন লঙ্কান ব্যাটার দানুশকা গুনাথিলাকা। তিন চার ও তিন ছক্কার মারে ৪০ বলে ৫২ রান করেন নাঈম আর ৪২ বলে ৪১ রান করেছেন গুনাথিলাকা।
দুই ওপেনারের শতরানের জুটিতে যখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে ঢাকা, তখন কুমিল্লার বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে কিছুটা সংশয় উঁকি দেয়।
১০১ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর আর ৪০ রান যোগ করতেই আরও চার উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় ঢাকা। তবে শেষের দিকে ইরফান শুক্কুর (১৬ বলে ২৪) এর কল্যাণে জয়ের দেখা পায় মোসাদ্দেকের দল।
কুমিল্লার হয়ে ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন তানভীর ইসলাম। এ ছাড়া ৩ দশমিক ৩ ওভারে ৩১ রান দিয়ে দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন ফিজ।