সিলেটে একই আসনে ৪ জনসহ পাঁচ প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন

দখল অনিয়মসহ নানা অভিযোগ তুলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেন সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান চৌধুরীসহ চার প্রার্থী।

রোববার দুপুরে বিশ্বনাথ বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন তারা। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালেও তাদের পক্ষে একই ঘোষণা দেয়া হয়।

এ আসনে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন শফিকুর রহমান চৌধুরী।

নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া ৪ প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী, গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান ও তৃণমূল বিএনপির আব্দুর রব মল্লিক।

ইয়াহইয়া চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকার কর্মীরা আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে, জাল ভোট দিচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশ কিংবা প্রিজাইডিং অফিসার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বরং লিখিত অভিযোগ দিতে বলছেন। এমনকি একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহন সাময়িক বন্ধ রাখার পর নৌকার প্রার্থী এসে ভোটগ্রহণ শুরু করে দেন। এ অবস্থায় নির্বাচনে থাকা সম্ভব না, তাই আমি প্রত্যাহার করছি।’

মোকাব্বির খান বলেন, ‘যেভাবে জোর করে আমার ও অন্য দুইজন প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোটকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নেয়া হচ্ছে, এর পরে নির্বাচনে থাকা যায় না। আমি নির্বাচন বর্জন করছি এবং দ্রুত প্রেস কনফারেন্স করে বিস্তারিত জানাবো।’

মুহিবুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় পার্টির এমপিকে রীতিমতো জিম্মি করে নৌকার প্রার্থী টেবিল কাস্টিং করেছেন। আমি আরও কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করবো, আমিও বর্জনের দিকেই যাচ্ছি।’

এদিকে একই ধরণের অভিযোগ অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন সিলেট-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন।

এক ভিডিও বার্তায় আবুল হোসেন ব্যাপক অনিয়ম, জাল ভোট, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া সহ ও প্রশাসনের নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্যের কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানান।

প্রসঙ্গত, সিলেট-৪ আসনে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, প্রবাসি কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান ও ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী নাজিম উদ্দিন কামরান।