বিদেশে পাঠানোর নামে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারক সজিব গ্রেপ্তার

বিদেশে পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের ‘মূলহোতা’ সজিব কান্তি পালকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯ (র‍্যাব)।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে র‍্যাব-৯ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সিলেট নগরী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। সজিব সিলেটের ওসমানীনগর থানাধীন টেকেরহাট এলাকার বাসিন্দা।

র‍্যাব-৯ জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে প্রতারক চক্রের সদস্যরা মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে উচ্চ বেতনে চাকরি দেয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বেকার যুবক যুবতীদের নিকট হতে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদেরকে সর্বশান্ত করছে এবং বিদেশে গিয়ে তারা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। গত ২২ নভেম্বর এরূপ প্রতারণার শিকার ভিকটিম বাদী হয়ে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৪৪/৫০১, তারিখ- ২২ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ।

মামলার বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, ধৃত আসামি সজিব কান্তি পাল (৪২) সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতা। তিনি প্রতারক চক্রের অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় বাংলাদেশ থেক রোমানিয়ায় উচ্চ বেতনে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি দেয়ার নাম করে ভিকটিম এবং তাদের অভিভাবকদের প্রলুব্ধ করে প্রথমে পাসপোর্ট এবং প্রাথমিক খরচ বাবদ ভিকটিমসহ আরো ০২ জনের নিকট থেকে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেয়। তারপর ওয়ার্ক পারমিট, পরিবহন খরচ, ভিসা প্রসেসিং, মেডিকেল খরচ, বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি খরচের কথা বলে আসামিরা ধাপে ধাপে ভিকটিমদের নিকট হতে ব্যাংক হিসাব ও নগদে সর্বমোট ২১ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। পরবর্তীতে, আসামীরা ভিকটিমদের যথাসময়ে বিদেশ নিতে না পারায় ভিসা যাচাইয়ের জন্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ই-মেইল করে জানতে পারে আসামিদের কর্তৃক প্রদত্ত সমস্ত কাগজপত্র ভুয়া। প্রতারণার এই ঘটনাটি সিলেটসহ দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এরই প্রেক্ষিতে আসামিদের আইনের আওতায় আনতে র‍্যাব-৯ এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-৯, সিপিএসসি, সিলেটের একটি আভিযানিক দল প্রতারক চক্রের মূল হোতা সজিবকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। ব্যাহত আছে।

র‍্যাব-৯ আরও জানায়, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ‘IMPACT GLOBAL’ নামক ট্রাভেলএজেন্সির সাথে ধৃত আসামীর সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে ওই ট্রাভেল এজেন্সির কোন লাইসেন্স পাওয়া যায় নি।

পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।