পাখি উদ্ধারে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে লাশ হলেন নিজেই, তিনজন আহত

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাখি উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত তিনজন গতকাল রাতে ভর্তি হন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে, যাদের মধ্যে একজন এরই মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

পাখি উদ্ধারকারী দলের বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ হারানো সদস্যের নাম তাফসিয়ান আতিফ। ২২ বছর বয়সী এ যুবকের দেহের ৯৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

আহত অন্য সদস্যরা হলেন, টিম লিডার ৩৫ বছর বয়সী রবিন হুড, ৪৫ বছরের শফিকুল ইসলাম ও ১৮ বছর বয়সী রূপক।

এ বিষয়ে রবিনহুড বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ বিআরটিএ এলাকায় যাই। সেখানে বিদ্যুতের তারে বসে থাকা অবস্থায় একটি পোষা টিয়া পাখি বাঁশের ফাঁদ দিয়ে ধরতে যাই আমি ও রেসকিউর অন্যান্য সদস্যরা। পাখিটি বিদ্যুতের তারে বসা অবস্থায় ধরতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আমরা চারজন দগ্ধ হই।

‘পরে ওই এলাকার কিশোররা আমদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে নিয়ে আসে। জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একজনকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং তিনজনকে অবজারভেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।’

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, ‘কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ থেকে দগ্ধ অবস্থায় চারজন এসেছে বার্নে। তাদের মধ্যে আতিফের শরীরের ৯৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আর দুজনের ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘(বৃহস্পতিবার) রাত ১০টায় আতিফের অবস্থার অবনতি হলে তার হার্টবিট বেড়ে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট হওয়ায় তাকে জরুরি ভিত্তিতে রেফার করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সিতে।’

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ থেকে চারজন দগ্ধ শেখ হাসিনা বার্নে এসেছিল। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থার অবনতি হলে রাতে ঢাকা মেডিক্যালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সিতে পাঠানো হলে রাত সোয়া ১২টার দিকে তাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’