পাকিস্তানী সেই নারীর মামলায় ফেরারী চুনারুঘাটের সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার। স্বামীর কাছ থেকে ‘অবহেলা ও নির্যাতন’ পেয়ে শেষ পর্যন্ত আদালতে মামলা দায়ের করেন মাহা বাজোয়া নামের সেই পাকিস্তানি নারী।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহেলা পারভীন-এর আদালতে স্বামী সাজ্জাদ হোসেন মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তাকে সমন পাঠিয়েছেন।
হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর পেশকার তাজুল ইসলাম জানান, এর আগে গত সোমবার ১০ লাখ টাকার যৌতুক মামলা দায়ের করেন মাহা বাজোয়া। আদালত শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) আদেশের জন্য দিন ঠিক করেন। তাঁদের বিয়ের হলফনামার কপি দেখানোর কথা বললে মাহা বাজোয়া সেটি দেখালে বিচারক উক্ত আদেশ দেন। কিন্তু মঙ্গলবার সাজ্জাদ আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাকে সমন পাঠান।
জানা যায়, পাকিস্তানের লাহোর প্রদেশের মুলতান রোডের সাকি স্ট্রিট সৈয়দপুরের বাসিন্দা মকসুদ আহমেদের মেয়ে মাহা বাজোয়ার সঙ্গে ১০ বছর আগে দুবাইয়ে পরিচয় হয় চুনারুঘাট উপজেলার উত্তর বাজার বড়াইলের সফিউল্লা মজুমদারের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন মজুমদারের। পরে তারা ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়েও করেন। তাদের সংসারে জান্নাত নামে আট বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর মাহা বাজোয়া ও সাজ্জাদ দুবাই, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে অবস্থান করেন। ২০১৮ সালে মাহা সাজ্জাদের বাড়িতে কয়েক মাস অবস্থান করেন। পরে মাহা বাজোয়া পাকিস্তানে চলে গেলেও স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন।
সর্বশেষ গত ১৭ নভেম্বর মাহা বাজোয়া পাকিস্তান থেকে স্বামীর বাড়িতে এসে অবস্থান নেন। তার অভিযোগ- স্বামী সাজ্জাদ তাঁর প্রতি অবহেলা শুরু করেছেন এবং ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছেন। গত ৮ ডিসেম্বর যৌতুকের ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় মাহা বাজোয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেন সাজ্জাদ। পরে মাহা বাজোয়া বাদী হয়ে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় স্বামী সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর থেকে সাজ্জাদ পলাতক রয়েছেন।