ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর থেকেই সারাদেশের মতো দ্বিগুন দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে থাকেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার মোদি দোকানের ব্যবসায়ীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পেঁয়াজ কিনতে আসা গ্রাহকরা। রাতারাতি সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতারা।
এদিকে খবর পেয়ে আজ সোমবার (১১ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ছকিনা আক্তার।
এসময় অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে শাস্তিস্বরূপ মেসার্স দোলন স্টোরের ৪’শ কেজি পেঁয়াজ ১’শ ২০ টাকা দরে নিজে উপস্থিত থেকে বিক্রি করান ছকিনা আক্তার। খবরটি বাজারব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে কমমূল্যে পেঁয়াজ কিনতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান ক্রেতারা।
মিলন মিয়া ও লিটন মিয়া নামের দু’জন ক্রেতা জানান, গতকাল রবিবারও পাগলা বাজারে ১শ ৮০ থেকে ২শ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। আজ (সোমবার) মোবাইল কোর্ট এসে তারা দাঁড়িয়ে থেকে ১শ ২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। দুই কেজি করে দু’জনে ৪ কেজি কিনেছি।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ছকিনা আক্তার বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন। দোলন স্টোরের মালিক পেঁয়াজ গোপনের চেষ্টা করেছেন। আমরা খুঁজে বের করে ১শ ২০ টাকা দরে বিক্রি করিয়েছি। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে পেঁয়াজ কিনেছেন। পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ সহযোগিতা করেছেন। আমি বাজারের সকল ব্যবসায়ীদের বলেছি, ১শ ৩০ টাকার বেশি পেঁয়াজ বিক্রি করলে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। আমাদের নিজস্ব লোক ছদ্মবেশে বাজারে পেঁয়াজের দাম মনিটরিং করবে।’
এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- পাগলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মির্জা, সহ-সভাপতি আতর আলী, সদস্য তুয়েল আহমদ, নাছির আলী ও গণমাধ্যমকর্মী জামিউল ইসলাম তুরান।