দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের ঘরের মাঠেই হারাল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বর্ণা আক্তারের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে ১৩ রানের ঐতিহাসকি জয় পায় বাংলাদেশ।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিনের উইলোমুর পার্কে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ৬.৫ ওভারে ৪৪ রান তোলে বাংলাদেশ দল। ৭ম ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার শামিমা সুলতানা। এর আগে ২৪ বলে ৪টি চার আর এক ছক্কায় ২৪ রান করেন তিনি।
এরপর সুবহানা মোস্তারিকে সঙ্গে নিয়ে ফের ৩৯ রানের জুটি গড়েন ওপেনার মুর্শিদা খাতুন। ১৭ বলে তিন চারে ১৬ রান করে ফেরেন সুবহানা। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক নিগার সুলতানাকে সঙ্গে নিয়ে ফের ৬৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন ওপেনার মুর্শিদা খাতুন। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ২ উইকেটে ১৪৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ।
দলের হয়ে ৫৯ বলে ৬টি চার আর এক ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মুর্শিদা খাতুন। ২১ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক নিগার সুলতান।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকাও। উদ্বোধনী জুটিতে ৯.৩ ওভারে ৬৯ রান করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান দুই ওপেনার অ্যানেকে বোশ আর অধিনায়ক তাজমিন ব্রিটিশ। তাদের এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটান রাবেয়া খান। ২৬ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় ৩০ রান করে ফেরেন তাজমিন।
এরপর মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে অ্যানেরি ডারকসেনকে ফেরান ফাতেমা খাতুন। ২ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ৭২ রান। জয়ের জন্য শেষ ৫৬ বলে প্রোটিয়া নারীদের প্রয়োজন ছিল ৭৮ রান।
এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে একের পর এক আঘাত হানেন লেগ স্পিনার স্বর্ণ আক্তার। তার স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে পরের ৬০ রানে ৬ উইকেট হারায় প্রোটিয়া নারী দলটি। এই ৬ উইকেটের মধ্যে ৫টি নেন স্বর্ণা আক্তার।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪৯ বলে ৯টি চার আর এক ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন ওপেনার অ্যানেকে বোশ। স্বর্ণা আক্তার ৪ ওভারে ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১২ ম্যাচে বাংলাদেশের নারীদের এটি দ্বিতীয় জয়। তবে আফ্রিকার মাঠে প্রথম জয়। এর আগে ২০১২ সালে মিরপুরে প্রোটিয়া নারীদের সঙ্গে ৭ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ।