জগন্নাথপুরে আমনের বাম্পার ফলন, ভালো দামের প্রত্যাশা

সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়নে এবছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসলের মাঠজুড়ে এখন শুধুই সোনালী ধান আর ধান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারের ফলন ভালো হয়েছে। ন্যায্য দাম পেলে কৃষকরা এবার লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।

জগন্নাথপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানায়, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৫ শত ৫৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। লক্ষ্যমাত্রা চেয়েও বেশি ফলন হয়েছে। এবার এক হাজার কৃষকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। চলতি মৌসুমে ইতোমধ্যে ৭০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে।

রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক মিজান মিয়া বলেন, এবার বর্ষার প্রথম দিকে আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ার পরও তিন বিঘা জমিতে ধান রোপণ করি। পরে আল্লাহর রহমতে অনেক বৃষ্টি নামায় আরও তিন বিঘা জমিতে ধান লাগাই। সব জমিতে উফসি জাতের রোপা আমন চাষ করেছি। ফলনও বেশ ভালোই হয়েছে। বাজারে দাম ভালো পেলে গত দুই বছরের ধকল কাটিয়ে ওঠা যাবে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে একই এলাকার চাষি আখলই বলেন, বর্ষার শুরুতে আকাশের পানির অভাব ছিল। হাইব্রিড জাতের ধান লাগিয়ে বিপাকে পড়েছিলাম। এরপরে ব্যাপক বৃষ্টি হয়। ধান আবাদে তেমন কোনও সমস্যা হয়নি। ধানের ফলনও বাম্পার হয়েছে। আশা করি, বিঘায় ১৬ থেকে ১৭ মণ ধান হবে। শুনছি, বাজারে নাকি দামও ভালো। এবার খরচ বাদে লাভও হবে।

জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি সহকারী কর্মকর্তা তপন চন্দ্র শিল বলেন এবার আমন ধানের সুন্দর ফসল হয়েছে। কৃষকরা খুশি। সবাই ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওছার আহমদ জানান, জগন্নাথপুরে চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান ফলন হয়েছে। আমরা চাষিদের সব সময় পরামর্শ দিয়ে গেছি। আমনে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে।