শীতকাল এলে ধুলার রাজ্যে হাবুডুবু খেতে হয়; বর্ষায় কাদাজলে নাকানিচুবানি। এভাবেই বছরজুড়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় বিয়ানীবাজার উপজেলার মুরাদগঞ্জ-বারইগ্রাম সড়কে চলাচলকারীদের।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের সংস্কারকাজ না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে লাউতা ও মোল্লাপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার বাসিন্দাকে। সিলেট-বারইগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের সংযোগ এ সড়কের ইট-সুরকি বেরিয়ে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষাকালে সড়কের কয়েকটি স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
সত্তরোর্ধ্ব স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজ উদ্দিন জানান, শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালি আর বর্ষায় হাঁটুপানি থাকে এ সড়কে। রাস্তাজুড়ে গর্ত। ঢালাই উঠে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে সুরকি। চার-পাঁচ বছর ধরে এ হাল সড়কটির। দেখার কেউ নেই।
সড়কটির বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, মুরাদগঞ্জ-বারইগ্রাম ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের মুরাদগঞ্জ ত্রিমোহনীতে প্রায় দেড়শ ফুট সড়ক পলেস্তারা দিয়ে পাকা করা হয়েছে। পাশে তৈরি করা হয়েছে দুই ফুট চওড়া ড্রেন। উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লবের বাড়ির সম্মুখভাগ পর্যন্ত নতুন সংস্কার করা রাস্তাটি বেশ। এরপর থেকে সড়কের বাকি অংশে ছোট-বড় গর্ত, ভাঙাচোরা আর খানাখন্দ। সড়কের অধিকাংশ জায়গায় ইট-সুরকি সরে গিয়ে কাদামাটি বেরিয়ে পড়েছে।
লাউতা ইউনিয়নের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য লুৎফুর রহমান ফয়ছল জানান, সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ সড়ক সংস্কারে পদক্ষেপ নিতে উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশল শাখায় ডিও লেটারও পাঠিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল আজম জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে সড়কের বর্তমান অবস্থা নিরীক্ষার পর একটি প্রাক্কলন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।