পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মামলা নিস্পত্তির দীর্ঘসূত্রিতা ন্যায়বিচারের পথে অন্তরায়। আমাদের দেশের আদালতগুলোতে বছরের পর বছর মামলাগুলো অনিস্পত্তি অবস্থায় থেকে যাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ কেবল হয়রানীর শিকারই হচ্ছেন না, তারা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর একটি অভিজাত রেস্তোরার হলরুমে অনুষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ‘ল’ নাইটে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে, আইন ও বিচার বিভাগের প্রভাষক সৈয়দা নাজমুর সিহা মুনা’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে রাষ্ট্রের মালিক হচ্ছেন জনগন। আমাদের দেশের অনেক আইন প্রণেতারা আইনের অনেক তাত্ত্বিক দিক সম্পর্কে বিস্তারিত না জানায় আইনের খসড়া তৈরীতে আমলাতন্ত্র বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে তিনি বলেন, “তরুণ আইনজীবি ও দেশের ভবিষ্যত আইনজ্ঞদের ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে ভালো লাগছে। বিশ্বের প্রতিথযশা কূটনৈতিক ও রাষ্ট্রনায়করা আইনের শিক্ষার্থী ছিলেন। এমইউ এর আইন ও বিচার বিভাগ সিলেটসহ দেশের আইন শিক্ষার অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রেখে চলছে। অতি অল্পসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের উচ্চ শিক্ষায় ব্যতিক্রমী ধারা সংযুক্ত করেছে।”
এসময়, আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থীদের সম্পাদনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অতিথিরা মোড়ক উন্মোচন করেন ‘আইনদর্পণ’ শিরোনামে একটি ম্যাগাজিন ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালী উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন ‘এমইউ’ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, আইন অনুষদের ডিন শেখ আশরাফুর রহমান, বিভাগীয় প্রধান গাজী সাইফুল হাসান,সহকারী প্রক্টর মো. আব্বাস উদ্দিন, এমইউ ল’ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি যথাক্রমে শাহাদাত আলী শাকী ও মোহাইমিন চৌধুরী বাপ্পী, ল’ স্টুডেন্টস ফোরামের সহ-সভাপতি সামছুল ইসলাম জাকারিয়া,স্কুল অব বিজনেস এন্ড ইকোনোমিক্স এর ডিন ও প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, পরিচালক (অর্থ) ইনামুল হক, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এম.জেড. আশরাফুল, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিহির কান্তি চৌধুরী এবং বিভাগটির প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন ও বিচার বিভাগ প্রতি বছর এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে।