বানিয়াচংয়ে ইরি-বোরো বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষকরা

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষকরা। আর কয়েকদিন পরেই মাঠে বোরো ধানের চারা লাগানো শুরু হবে।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা বোরো ধান চাষের লক্ষ্যে ট্রাক্টর ও নানা পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছেন।

চলতি বছর উপজেলায় রোপা আমন চাষে নানা প্রতিকূলতায় কৃষককূল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বীজতলা তৈরিতে এখন পর্যন্ত কোন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না। রোপা আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পুরোদমে বীজতলা ও জমি তৈরির কাজ চলছে।

উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের কৃষক সাহেদ মিয়া জানান, এখন বীজতলা প্রস্তুত করতে সারাদিন আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি ১৫ থেকে ২০ দিন পরেই বোরো জমিতে ধানের চারা রোপণের উপযোগী হবে।

জাতুকর্ণপাড়ার সুবেদ আলী জানান, আমরা এখন বীজধান ক্রয় করছি। ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করে সার ছিটিয়ে বীজতলার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এ বছর বোরো ধানের আবাদ ভালো হবে বলে আশা করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ এনামুল হক জানান, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এ বছর ৩৩ হাজার ৬’শ ৮৫ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ১৫’শ ২ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে উপযোগী বিভিন্ন স্থানে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এখানকার বেশির ভাগ কৃষকই উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের আগ্রহ বেশি থাকায় ব্রি ৮৮, ব্রি ৮৯, ব্রি ৯২, ব্রি ৯৬ ও ব্রি ১০০ জাতের ধান আগাম চাষ করছে।

তিনি বলেন, ধানের চারার সংকট এড়াতে কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী আগে থেকেই মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। আবহাওয়ার কথা ভেবে বীজতলা তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করার জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ৬ হাজার কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ২কেজি করে হাইব্রিড জাতের ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে।