ভোটার তালিকায় যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, এ ধরনের ব্যক্তিরা কারাগারে কিংবা বিদেশে থাকলে অথবা নির্বাচনি দায়িত্বে থাকলেও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। খবর বাসসের
এতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে তাদের কেউ বাংলাদেশের কোনো জেলখানায় বা অন্য কোনো আইনগত হেফাজতে আটক থাকলে, তিনি যে ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদানের অধিকারী সেই কেন্দ্র ব্যতীত অন্য কোনো ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত থাকলে এবং বিদেশে বসবাসরত কোনো বাংলাদেশি ভোটার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমন ভোটদানের অধিকারী কোনো ব্যক্তি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ইচ্ছুক হলে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হওয়ার তারিখ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে। তিনি যে নির্বাচনি এলাকার ভোটার, সেই এলাকার রিটার্নিং অফিসারের কাছে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে উদ্দেশে একটি ব্যালট পেপারের জন্য আবেদন করবেন এবং অনুরূপ প্রত্যেক আবেদনে ভোটারের নাম, ঠিকানা এবং ভোটার তালিকায় তার ক্রমিক নম্বর সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।
এতে বলা হয়, রিটার্নিং অফিসার কোনো ভোটারের আবেদন পাওয়ার পর, অনতিবিলম্বে ওই ভোটারের কাছে ডাকযোগে একটি পোস্টাল ব্যালট পেপার এবং একটি খাম পাঠাবেন, যে খামের ওপর তারিখ প্রদর্শন করে সার্টিফিকেট অফ পোস্টিং-এর একটি ফরম থাকবে, যা ভোটার কর্তৃক ডাকে দেয়ার সময় ডাকঘরের উপযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক পূরণ করা হবে।
নির্বাচন কমিশন বলছে, কোনো ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের জন্য তার ব্যালট পেপার পাওয়ার পর, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তার ভোট রেকর্ড করার পর ব্যালট পেপারটি তার কাছে পাঠানো খামে ন্যূনতম বিলম্বের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের কাছে ডাকযোগে পাঠাবেন।
রিটার্নিং অফিসার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত ব্যালটের ফলাফল মূল ফলাফলের সঙ্গে যোগ করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবেন। এ বিষয়ে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বা হাই কমিশনগুলো প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।