বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে নাম হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। সবশেষ খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির অগ্রভাগ। মিধিলির সম্ভাব্য সব বিপদ এড়াতে সারাদেশে নৌ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা এ ঘোষণা দেন।
বিআইডব্লিউটিএ থেকে বলা হয়, সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৭ ও ৬ নম্বর বিপৎসংকেত জারির পর সারাদেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শুক্রবার মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আজ দুপুর নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
আরও পড়ুন > মোংলা ও পায়রা উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’
পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।