শনিবা (১১ নভেম্বর) পুনেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান এসেছে তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। তাছাড়া ৪৫ রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অজিদের হয়ে ২ টি করে উইকেট শিকার করেছেন শন এবট ও এডাম জাম্পা।
ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। দুই ওপেনারের দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ৬২ রান।
১২ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বোলার শন অ্যাবটের হাতে ক্যাচ তুলে দেন উইকেটে সেট হওয়া তামিম। ৩৬ রান করে তামিম ফেরায় ভাঙে ৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। ১৭তম ওভারে অ্যাডাম জাম্পাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ল্যাবুশেনের হাতে ধরা পড়েন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৫ বলে ৩৬ রান। দলী ১০৬ রানে বাংলাদেশ হারায় দ্বিতীয় উইকেট।
এরপর তৃতীয় উইকেটে তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে জুটি গড়েন শান্ত। দুই প্রান্তেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলের রানের চাকাও ঘুরছিলো দ্রুত ঘুরছিল। তবে ২৮তম ওভারে শান্তর সিদ্ধান্তহীনতায় কাটা পড়তে হয় রান আউটে। অ্যাবটের করা লেগ স্টাম্প বরাবর বলটিকে পেছনের পায়ে ভর দিয়ে স্কয়ার লেগে ঠেলে দেন শান্ত, এক রান অনায়াসে নেওয়ার পর খানিকটা ভেবে দ্বিতীয় রানের জন্য দৌড় শুরু করেন, কিন্তু সময়মতো ক্রিজে পৌঁছাতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৪৫ রানেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে শান্তকে।
শান্তর পর রান আউটে কাটা পড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। আক্রমণাত্মক ২৮ বলে ৩২ করেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ইনিংসে ১ চারের সঙ্গে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৩টি। অপরদিকে তাওহীদ হৃদয় তুলে নেন বিশ্বকাপের প্রথম ফিফটি। আউট হবার আগে ৭৯ বলে ৭৪ রান করেন তিনি।
মুশফিক ২৪ বলে ২১ আর মিরাজ ২০ বলে ২৯ রান করে আউট হলে লোয়ার অর্ডার থেকে আর বড় রান আসেনি। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৩০৬ এ।