গেল এক সপ্তাহ ধরেই পাউন্ডের দাম বাড়ছিল। রেকর্ড ভেঙে সোমবার রাত পর্যন্ত প্রতি পাউন্ড ছিল ১৫১টাকা ৫০পয়সা। পাউন্ডের বিপরীতে টাকার মান কমায় প্রবাসিদের দেশে টাকা পাঠানোর হিড়িক পড়েছে।
এমন বাস্তবতায় যুক্তরাজ্যের মানি ট্রান্সফার সেন্টারগুলোতে প্রবাসিদের ভীড় লক্ষ করা গেছে।
এদিকে পাউন্ডের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে থেকে যুক্তরাজ্যে আসার অপেক্ষায় থাকা আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ও কেয়ার ওয়ার্কার বিপাকে পড়েছেন। বাড়তি দামে তাদের পাউন্ড কিনতে হচ্ছে।
প্রবাস থেকে বাংলাদেশে যে কয়টি দেশের রেমিটেন্স বেশি আসে তাঁর মধ্যে অন্যতম যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যে বৈধ-অবৈধভাবে বসবাস করা প্রায় দেড় মিলিয়ন প্রবাসি বাংলাদেশি এসব রেমিটেন্স পাঠিয়ে থাকেন। গত বছরের নভেম্বর থেকে টাকার বিপরীতে পাউন্ডের দাম বাড়তে থাকে। চলতি বছর ১২৫থেকে ১৩৭\১৩৮টাকা উঠানামা করছিল পাউন্ডের দাম।
গত এক সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করেই বাড়তে থাকে পাউন্ডের দাম। ১৪২ থেকে ১৪৭\১৪৮টাকায় উঠে যায় প্রতি পাউন্ড। রেকর্ড ভঙ্গ করে সোমবার প্রতি পাউন্ড হয়ে যায় ১৫১টাকা ৫০পয়সা। পাউন্ডের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় প্রবাসসিদের টাকা পাঠানোর হিড়িক পড়েছে। মানি ট্রান্সফারের দোকানের পাশাপাশি বিভিন্ন অ্যাপসে টাকা পাঠাচ্ছেন প্রবাসিরা। তবে অ্যাপসে সোমবার পাউন্ডে রেট ছিল ১৫০টাকা।
লন্ডনে বসবাস করা সুবেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমি দেশে যাব জানুয়ারি মাসে, পাউন্ডের বিপরীতে টাকা বেশি পাওয়ায় আগেই দেশে টাকা পাঠিয়ে রেখেছি। টাকা একটু বেশি পাওয়া গেল।’
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে আসার অপেক্ষায় থাকা সালেহ আহমদ বলেন, ‘পাউন্ডের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমার অনেক টাকা বাড়তি দিতে হচ্ছে। টাকায় নয়, পাউন্ডের হিসেবেই আমাকে খরচ বহন করতে হচ্ছে। কিছুটা হলেও আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’
নেক মানি ট্রান্সফার লন্ডন অফিসের মার্কেটিং অফিসার আজিজুল ইসলাম বলেন, স্মরণকালের সব চেয়ে বেশি রেট ছিল সোমবার। প্রতি পাউন্ডের বিপরীতে টাকা ছিল ১৫১টাকা ৫০পয়সা। এর আগে আমরা এত রেট পাইনি। সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠালে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে পাঁচ পার্সেন্ট। অন্যান্য ব্যাংকে আড়াই পার্সেন্ট।
তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ না আর্ন্তজাতিক প্রভাবে পাউন্ডেে দাম বাড়ছে।