দেশব্যাপী বিএনপির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করেছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।
রবিবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নগরীর চৌকিদেখি এলাকায় আয়োজিত এ সমাবেশে সিলেট উদ্যোগে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেসা হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দা জেবুন্নেসা হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশব্যপী যে উন্নয়ন চলমান রয়েছে সেই উন্নয়ন জনগণ চায়। কোনো ধরনের হরতাল ও অবরোধ জনগণ চায় না। জনগণ এখন উন্নয়নমুখী। কিন্তু বিএনপি সেখানে দেশের স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও উন্নয়নমুখী পরিবেশ বিনষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র ও গুজব ছড়াচ্ছে। হরতাল ও অবরোধের ডাক দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। জনগন শান্তিতে থাকুক তারা সেটা চায় না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সার্বিক উন্নয়ন দেখে তারা সহ্য করতে পারছে না। তারা ২০১৪ সালে ফিরে গিয়েছে। কিন্তু তারা যতই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অব্যাহত রাখুক। আওয়ামী লীগ রাজপথ আছে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ আছে। রাজপথে থেকেই সকল ষড়যন্ত্র, গুজব, অবরোধ ও হরতালের শক্ত জবাব দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেত্রী বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন সংগ্রাম মোকাবেলা করতে হবে। বাংলার মাটিতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কোনো স্থান হতে পারে না। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার জন্য তারা যতই ষড়যন্ত্র ও পাঁয়তারা করুক না কেন তা সফল হতে দেওয়া হবে না। জনগণকে সাথে নিয়েই তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক নিময়েই দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেউ তা আটকাতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ। শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ চলছে এবং তা চলবেই৷ আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। ঐক্যবদ্ধভাবেই আগামী জাতীয় নির্বাচনেও আমরা বিজয়ী হবো।
শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো: জাকির হোসেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচিত আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন প্রধান ও সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এজাজুল হক এজাজ, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম, মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রকিব বাবলু, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন দেব নাথ, মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি নোমান আহমদ, কাউন্সিলার শেখ তোফায়েল আহমদ শেপুল, ফারুক হায়দার প্রমুখ।
জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আশফাক আহমদ, কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম রুহেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আখলাকুর রহমান চৌধুরী সেলিম, এম কে শাফি চৌধুরী এলিম, গোলাপ মিয়া, ডাঃ নাজরা আহমদ চৌধুরী, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হেলেন আহমেদ, জেলা যুব লীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ, সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন কয়েছ, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজিরা বেগম শীলা, সাধারণ সম্পাদক হাকীম দিনা আক্তার, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল কান্তি সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ।
মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, ফয়জুর আনোয়ার আলাওর, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, ডাঃ আরমান আহমদ শিপলু, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, মোঃ আব্দুল আজিম জুনেল, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, এমরুল হাসান, সুদীপ দেব, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, তৌফিক বক্স লিপন, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, উপদেষ্টা আব্দুল মালিক সুজন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত প্রমুখ।
মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি এম শাহরিয়ার কবির সেলিম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গিরদার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি নোমান আহমদ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিবৃন্দ আব্দুর রব হাজারী,ফয়েজ খান পিয়ারা, সালউদ্দিন বক্স সালাই, রোকন আহমদ, ফখরুল হাসান, আনোয়ার হোসেন বনার, সাজোয়ান আহমদ, দিলোয়ার হোসেন রাজা, ইসমাইল মাহমুদ সুজন, ফয়সল আক্তার ছোবহানী, আব্দুস সালাম সাহেদ, ও সাধারণ সম্পাদবৃন্দ সৈয়দ আনোয়ারুস সাদাত, সোয়েব বাসিত, জাহিদুল হোসেন মাসুদ, নজরুল ইসলাম নজু, শেখ সুরুজ আলম, মোঃ বদরুল ইসলাম বদরু, এডভোকেট বিজয় কুমার দেব বুলু, সফিকুল ইসলাম আলকাছ, মইনুল ইসলাম মঈন, ফজলে রাব্বি মাসুম, শেখ সোহেল আহমদ কবির, সেলিম আহমদ সেমিম সহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীবৃন্দ।