সময়টা মোটেও ভালো কাটছে না সর্বোচ্চ পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ড্রয়ের পর ২-০ গোলে হারতে হয়েছে উরুগুয়ের বিপক্ষে। তার ওপর চলতি মাসে কলম্বিয়া ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সেলেসাওদের মাঠে নামতে হবে। কিন্তু তাদের বড় দুশ্চিন্তার নাম নেইমার জুনিয়র। হাঁটুর লিগামেন্ট ছিড়ে যাওয়ার সাত মাসের ব্যবধানে তাকে দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে।
পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ফিরতেই হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে নেইমারের। যে অস্ত্রোপচারের কারণে পুরো মৌসুম মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। একইসঙ্গে আগামী বছরের কোপা আমেরিকায় তাকে পাওয়া নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। এর আগে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) জানিয়েছিল, বৃহস্পতিবার নেইমারের হাঁটুর অস্ত্রোপচার হবে। ব্রাজিল জাতীয় দলের শল্য চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমারের অধীনে এই সার্জারি হবে তার।
২০২৪ সালের কোপা আমেরিকার আসর বসবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ২০ জুন থেকে শুরু হয়ে টুর্নামেন্ট চলবে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। সেখানে তাকে না পেলে বড় মূল্যই দিতে হতে পারে ব্রাজিলকে। তাকে ছাড়া দলটির মাঠের পারফরম্যান্স তেমন আশা জাগানিয়া নয়।
নেইমারের পুরো ক্যারিয়ারই ইনজুরিময়। ঘরের মাঠে ২০১৪ বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি। ২০১৮ বিশ্বকাপের আগে লম্বা সময় ইনজুরিতে ছিলেন তিনি। ২০১৪ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ৪২৪ দিন ইনজুরিতে ছিলেন এই তারকা। কাতার বিশ্বকাপের মাঝেও তিনি ইনজুরিতে পড়েছিলেন। বিশ্বকাপ শেষে ক্লাবের জার্সিতে ফিরেই ইনজুরিতে পড়ে ছয় মাস মাঠের বাইরে ছিলেন এই তারকা। ইনজুরি থেকে ফিরে পিএসজির হয়ে প্রাক মৌসুমের ম্যাচ খেললেও মৌসুম শুরুর আগে আল হিলালে যোগ দেন তিনি। সেখানে নিজের ফুটবল সৌন্দর্য দেখানোর আগেই মৌসুম শেষ তার।
গত ১৭ অক্টোবর উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে চোট পান নেইমার। উরুগুয়ে মিডফিল্ডার নিকোলাস দে লা ক্রুজের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ের এক পর্যায়ে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান নেইমার। ব্যথায় মাঠে শুয়েই কাতরাতে থাকেন তিনি। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত স্ট্রেচারে করে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন নেইমার। ব্রাজিলের মেডিকেল টিমের পর্যবেক্ষণ শেষে পরদিনই জানানো হয়, অস্ত্রোপচারে যেতে হবে নেইমারকে।