১৫ অক্টোবর দিল্লিতে আফগানরা চমক দিয়ে হারায় গত আসরে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। এর আট দিন পর আফগানদের আরেকটি বড় শিকার। এবার তাদের কাছে ধরাশয়ী বাবর আজমের পাকিস্তান।
চমক দেখানো আফগানদের সামনে আজ আরেক সাবেক চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় দুই দল মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচে লঙ্কানদের হারাতে পারলে আফগানিস্তানের সেমিফাইনালের স্বপ্ন বড় হবে আরও।
ম্যাচের আগে রোববার সংবাদ সম্মেলনে আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি জানান বদলে যাওয়ার গল্প। তিনি বলেন, গত দুই বছর এই দল নিয়ে আমরা কাজ করেছি। আমরা এ সময় পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মতো দলের সঙ্গে খেলেছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর ৫০ ওভারের ক্রিকেট খেলেছি আর নিজেদের পরিকল্পনায় স্থির থেকেছি।
খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রাখায় ফল পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দলটির ওপর আস্থা রেখেছি। যখন ভালো খেলতে পারিনি, তখনও দলের খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা ছিল। আমরা ওদের অনেক সুযোগ দিয়েছি। ভালো কিংবা খারাপ সময়, বিশ্বাস হারাইনি। আমার মনে হয়, ঠিক এ কারণেই বিশ্বকাপে ভালো করছি।
আফগানদের মতো শ্রীলঙ্কাও প্রথম পাঁচ ম্যাচের দু’টিতে জিতেছে। প্রথম তিন ম্যাচে হারার পর ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা টানা দুই ম্যাচে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে।
দুই দলের এই লড়াইটা স্পিনেই ভালো জমতে পারে। আফগান শিবিরে মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, মুজিব উর রহমানের সঙ্গে রয়েছে বাঁহাতি লেগ স্পিনার নুর আহমেদ। শেষ পর্যন্ত আফগানরা তিন স্পিনার নাকি পাকিস্তান ম্যাচের মতো চার স্পিনার নিয়ে মাঠে নামে সেটিই দেখার বিষয়। কেননা- এই দলটির মূল শক্তিই স্পিন!
শ্রীলঙ্কাও স্পিন শক্তিতে পিছিয়ে নেই। চোটের কারণে স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে বিশ্বকাপে না পেলেও মাহিশ থিকশানা ও দুনিত ভেল্লালাগের মতো দুর্দান্ত স্পিনার রয়েছে শ্রীলঙ্কা দলে। যদিও ইনজুরির ধাক্কা সামলাতেই কাহিল লঙ্কানরা। সবশেষ পেসার লাহিরু কুমারা ছিটকে গেছেন দল থেকে। নতুন দলে ঢুকেছেন দুস্মন্ত চামিরা। শেষ পর্যন্ত কারা সেমির লড়াইয়ে টিকে থাকে সেটিই দেখার বিষয়।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম