ম্যাচ শেষে এক সিনিয়র সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, ‘যে লোকটা (তামিম ইকবাল) আড়াই বছর দলের অধিনায়ক ছিল। টিমের মধ্যে তার নিশ্চয় অনেক অনুসারী আছে। এটি কি দলের মধ্যে প্রভাব ফেলছে বলে আপনার মনে হয়?’
জবাবে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বললেন, ‘ফেলতেই পারে! অস্বাভাবিক কিছু না। আসলে ইন্ডিভিজুয়ালদের মনের ভেতরে আসলে কী আছে তা বলা মুশকিল।’
তবে এর আগে দলের বাজে পারফরম্যান্স কোনো অজুহাত ছাড়াই মেনে নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান।
ভারতে চলতি বিশ্বকাপের আসরে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে শুরু করেছিলো সাকিব-মুশফিকরা। এরপরের পাঁচ ম্যাচ কেটেছে দুঃস্বপ্নের মতো। টানা ৫ ম্যাচে হার, যার শেষটা আইসিসির সহযোগী দেশ নেদারল্যান্ডসের কাছে। ২৩০ রানের লক্ষ্যে ১৪২ রানে অলআউট। হারতে হয়েছে ৮৭ রানের বড় ব্যবধানে। এমন লজ্জার হারের ব্যাখ্যা কী!
শুধু তাই নয় বিশ্বকাপে কেন বাংলাদেশ ছন্দ খুঁজে পাচ্ছে না? এমন প্রশ্নের জবাব নাকি অধিনায়ক নিজেও জানেন না। বলেছেন জানলে হয়তো উন্নতি করতে পারতেন আর এমন ফলও হতো না।
অন্যদিকে বিশ্ব কাপে এমন ব্যর্থতার পেছনে নানা কারণ নিয়ে কথা হচ্ছে। তার মধ্যে উঠে আসে এমন হারের ও ব্যর্থতার জন্য জাতীয় দলের নির্বাচকদের অদূরদর্শিতা কারণ হতে পারে কিনা এমন প্রশ্নও। টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কাউকে দোষ দিতে চান না বলেই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেখুন আসলে আমাদের কাউকে ব্লেম করা ঠিক হবে না। আমরা যে ১৫ জনই আছি এটা আমাদেরই দল। আমরা কিছুই করতে পারিনি। আসলে আমি সিউর পুরো ড্রেসিংরুম স্বীকার করবে আমরা যা পারি তা করতে পারিনি।’
আরও পড়ুন : ‘দুর্বল’ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও লজ্জার হার বাংলাদেশের
এছাড়াও দর্শকদের দুয়ো ধ্বনিকে নিজের জন্য হতাশারই মনে করেন সাকিব। তবে তাতে তার রাগ নেই। সাকিব বলেন, ‘হতাশাজনক। তারা আসলে প্রত্যাশাও করে ভালো কিছু। স্বাভাবিকভাবে সেটা না হলে তাদেরও অধিকার আছে তাদের মতো করে বলার। তাদের ক্ষেত্রে আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমি মনে করি যেভাবে আমরা খেলেছি এটা আমরা ডিজার্ভ করি।’