মহাখালীর খাজা টাওয়ারে আগুন : প্রাণহানি বেড়ে তিন জনে

ঢাকার মহাখালী এলাকার খাজা টাওয়ার থেকে উদ্ধার হওয়া আকলিমা রহমান তিশা নামের এক নারীকে মৃত বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।

এ নিয়ে আগুনের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে।

ফায়ার সার্ভিস সদস্য ও স্বজনরা ৩৩ বছর বয়সী আকলিমাকে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া একটার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন, যেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, আগুনে সৃষ্ট ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয় আকলিমার।

বড় ভাই ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমার বোন (আকলিমা) মহাখালীর আমতলীর খাজা টাওয়ারের নবম তলার রেস অনলাইন লিমিটেডে কাজ করত। খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা বিকেল থেকে অপেক্ষায় ছিলাম আমার বোনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসব, কিন্তু তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাই। শেষ পর্যন্ত আমার বোন লাশ হয়ে ফিরল।’

ওবায়দুর জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার সৈয়দপুর গ্রামে। তার বোন রাজধানীর বসিলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য আকলিমার মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।

খাজা টাওয়ারে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৫৮ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৫টা ৭ মিনিটে।

সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আগুন নির্বাপণ করা হয় শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে। ভবনটি থেকে ১০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করার কথা জানায় ফায়ার সার্ভিস।

ওই ভবনে আগুন লাগার পর আতঙ্কে দড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে নিচে পড়ে মৃত্যু হয় হাসনা হেনা নামের এক নারীর। এ ছাড়া আগুনে দগ্ধ অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে ৬২ বছর বয়সী মো. রফিকুল ইসলামকে মৃত বলে জানান চিকিৎসক।

রফিকুল খাজা টাওয়ারে ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি মিরপুরের শাহ আলীবাগ সলিমুদ্দিন মার্কেট রোডের বাসিন্দা।