সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় সুরমা নদীর উপর নির্মিত সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার ( ১৯ অক্টোবর ) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালী ছাতকের সুরমা সেতুসহ ১৫০ টি সেতুর উদ্ধোধন করেন।
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক- দোয়ারাবাজার উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল সুরমা নদীর উপর সেতু নির্মাণ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নিলো। ৪০৩ মিটার দীর্ঘ আর ১৫ মিটার প্রস্থের এই সেতু তৈরিতে খরচ হয়েছে ১২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এছাড়া সেতুর দুই প্রান্তে রয়েছে আড়াই কিলোমিটার সংযোগ সড়ক ও টোলপ্লাজা।
গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কের ছাতক উপজেলার বাজনামহল ও নোয়ারাই এলাকায় নির্মান করা হয় সুরমা সেতু। ইতোপূর্বে এই সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আজ ছাতক উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সেতু এলাকায় সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক।
বীর মুক্তিযোদ্বা দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক ও সুনামগঞ্জ সড়ক জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম প্রামাণিক সহ স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, সুরমা সেতু নির্মাণের ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দোয়ারাবাজার উপজেলার সঙ্গে সিলেট সুনামগঞ্জ ও ঢাকাসহ সারাদেশের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। দোয়ারবাজার ও ছাতক উপজেলার ৫ লাখ মানুষের স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে। এছাড়া শিল্পনগরী ছাতকের লাফার্জ সুরমা ও ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরির পণ্য পরিবহনের বিপ্লব ঘটেছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁশতলা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল কবির বলেন, আগে আমরা অনেক রাস্তা ঘুরে সিলেট বা অন্যান্য জায়গায় যেতে হত। আমাদেরকে দীর্ঘদিন খুবই ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এই ব্রিজটা হওয়ায় আমরার সবচেয়ে বড় কষ্ট টাই দূর হয়েছে।
এ সময় সুধী সমাবেশে সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, সুরমা সেতু উদ্বোধনের ফলে আমার দোয়ারাবাজার উপজেলা মানুষ সরাসরি সড়ক পথে কৃষিপণ্য, মাছ, চুনাপাথর সড়ক পথে সরাসরি ঢাকা, বিভাগীয় শহর সিলেট জেলা শহর সুনামগঞ্জ আসা যাওয়া করতে পারবেন। সুনামগঞ্জে আরও এ ধরণের উন্নয়ন হবে। সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা আওয়ামী লীগের অন্যতম লক্ষ্য।