আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের বার্তা তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ২নং হবিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৫ অক্টোবর)উপজেলার শাসখাই বাজারের ফুটবল খেলার মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ২নং হবিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য সুধীর রঞ্জন দাস।
যুবলীগ নেতা রাখাল চন্দ্র দাস ও সুব্রত সরকারের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ (আল-আমিন)।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারা বাংলাদেশ ন্যায় আমাদের দিরাই-শাল্লায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশে বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এক সময়ের স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়। সেই হিসেবে বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা দিরাই-শাল্লাবাসী উন্নয়ন পিছিয়ে থাকবো কেন?
শাসখাই এলাকায় বিদ্যুতের ঘাটতির ব্যাপারে বর্তমান সংসদ সদস্য ড.জয়া সেনগুপ্তার কাছে গেলেও তিনি তার অসুস্থতার কারণে উচ্চ পর্যায়ে তদবির করতে পারেন নি বলে জানান বক্তারা।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিরাই-শাল্লার নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বার্থে স্মার্ট নেতৃত্ব দরকার। স্মার্ট নেতৃত্বের যুগে বয়োবৃদ্ধ লোক দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়।
পাশ্ববর্তী বানিয়াচং ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের উদাহরণ দিয়ে বক্তারা বলেন, আমাদের পাশ্ববর্তী উপজেলার উন্নয়ন আমরা দেখে দেখে যাচ্ছি কিন্তু আমাদের দিরাই-শাল্লায় উন্নয়নের বাস্তবায়ন হচ্ছে না। জনগণকে সাথে নিয়ে দিরাই-শাল্লার নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান বক্তারা।
বক্তারা আরো বলেন, পদ্মা সেতুর মত প্রকল্প দেশে বাস্তবায়ন হয়েছে সারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে কিন্তু আমরা দিরাই-শাল্লাবাসী দুর্ভাগা! আমাদের দিরাই-শাল্লাবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে স্মার্ট নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- দিরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড: সুহেল আহমেদ (ছইল) মিয়া, দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ভাটিপড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর চৌধুরী, শাল্লা উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সদস্য এ্যাড: দিপু রঞ্জন দাস, ৩নং বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিধান চন্দ্র চৌধুরী, দিরাই উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ সুয়েব চৌধুরী, দিরাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন কুমার রায়, ২নং হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাস, ৪নং শাল্লা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জামান চৌধুরী ফুল মিয়া, ৩নং বাহাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু, জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশীদ লাভলু, কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ একরার হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা মতিউর রহমান মতি, শ্যামা প্রসাদ দাশ প্রমুখ।
এছাড়াও বাহাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পিযুষ কান্তি দাস পিযুষ, সাধারণ সম্পাদক ফনী ভূষণ সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পিযুষ চৌধুরী, ৪নং শাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজ মিয়া, ইউপি সদস্য জহির মিয়া, জিয়া মিয়া, সামীজুল ইসলাম, সত্যব্রত সরকার দিজেন, অসিত রঞ্জন দাস, আওয়ামী লীগ নেতা ইকরামুল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব অজয় তালুকদার, সদস্য পলাশ সরকার পল্টু, মোঃ হুমায়ুন কবির, যুবলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক পলাশ চৌধুরী সহ
আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ এলাকার মুরুব্বিগণ উপস্থিত ছিলেন।