আদালত অবমাননার অপরাধে কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানাকে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু ৩ ঘণ্টা পর দুপুরে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। এ ঘটনায় অদালত প্রাঙ্গণে কিছুটা চাঞ্চল্য তৈরি হলেও আইনের দিক থেকে এখানে কোনো ব্যত্যয় হয়নি বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) উচ্চ আদালতের দেয়া সাজার বিরুদ্ধে আপিল করার শর্তে তাকে জামিন দেন বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি মাসুদ হাসান দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এর আগে সকালে একই বেঞ্চে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদলত। রায়ে সোহেল রানাকে সাত দিনের মধ্যে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতে সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী প্রণয় কান্তি রায়।
শাহ মঞ্জরুল হক বলেন, একটি ফৌজদারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ৫৬১ (এ) দ্বারা ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন আদালত। পরবর্তীতে এ আদেশের কপি কুমিল্লার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সোহেল রানার কাছে যায়। তিনি হাইকোর্টের ওই আদেশ অমান্য করে বিচার কাজ চালিয়ে যান। এই আদেশ অমান্যের কারণে তাকে সাজা দেওয়া হল।
বর্তমানে সোহেল রানা কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।