ফিলিস্তিনে ব্যাপক হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। দুই পক্ষে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩০০ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে ১২০০ এবং ফিলিস্তিনে ১১০০। খাদ্য,পানি ও বিদ্যুৎ না থাকায় ও ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এ যেন মৃত্যু আর আতঙ্কের উপত্যকা। আকাশে যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দ। চারদিকে বিধ্বস্ত ভবনের ইট-পাথর।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে আহত হয়েছেন প্রায় ছয় হাজার মানুষ। অন্যদিকে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান হতাহতের কারণে গাজাজুড়ে হাসপাতালগুলোতে লাশ রাখার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।
হামাসের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ২০২১ সালের মে মাসে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানে ইসরায়েলের নৃশংস অভিযানের পর থেকেই হামলার পরিকল্পনা করেছিল হামাস। এই হামলার ফলস্বরূপ ইসরায়েলের ১২০০ জন নিহত এবং প্রায় ৩ হাজার আহত হলো।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত শনিবার থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় জাতিসংঘের অন্তত ৯ কর্মী নিহত হয়েছেন। গাজায় রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় অধিকৃত পশ্চিম তীরে অন্তত ৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৯ জন।
মূলত আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলের হামলা, মুসল্লিদের মারধর, বয়স্ক ও যুবকদের মসজিদ থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করার দৃশ্য হামাসের ক্ষোভ আরও উস্কে দিয়েছে।
অবিলম্বে গাজায় মানবিক ত্রাণসহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বুধবার আরও বলেছেন, ‘গাজায় অবশ্যই খাবার, পানি, জ্বালানিসহ জরুরি জীবনরক্ষাকারী পণ্য যেতে দিতে হবে। আমাদের এখন দ্রুত ও নির্বিঘ্ন মানবিক সহায়তা প্রদানের সুযোগ পেতে হবে।’
সিলেট ভয়েস/এএইচএম