ভারতের সিকিমে ব্যাপক বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও ১৪ সেনাসহ অন্তত ১০২ জন নিখোঁজ রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে অন্তত ১৪টি ব্রিজ ধসে গেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাজুড়ে তিন হাজারের বেশি পর্যটক আটকা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকাল আকস্মিক এ বন্যায় ভেসে যাওয়া ২৩ জন সেনার মধ্যে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনী ও ভারত তিব্বত সীমা পুলিশের অনেকগুলি ছাউনি, গাড়ি এবং বহু বসতবাড়ি নদীর পানিতে ভেসে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সিকিমের তিস্তা নদীতে এমন ভয়াবহ পানির তোড় আর ধ্বংসলীলা তারা কখনও দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না। সিকিমে এখনও বৃষ্টি চলেছে, সঙ্গে তিস্তার ওপরে তৈরি একাধিক বাঁধ থেকে পানি ছাড়া হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাচেন উপত্যকার লোনাক হ্রদের ওপরে একটা মেঘভাঙ্গা বৃষ্টি হয় মঙ্গল ও বুধবার মাঝরাতের পরে। তার সঙ্গে গত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিপাতও ছিল। লোনাক হ্রদের ওপর ওই মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টিতে তিস্তায় পানির পরিমাণ হঠাৎই খুব বেড়ে যাওয়ায় চুংথাম বাঁধ খুলে দিতে হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাঁধটির কয়েকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে।
দেশটির জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানাচ্ছে, কয়েকজন ট্রেকার, সেনা এবং ভারত-তিব্বত সীমা পুলিশের কয়েকজন সদস্যও নিখোঁজ রয়েছেন।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সিকিমের চানথাং হ্রদের উপচে পড়া পানিপ্রবাহের ফলে তিস্তার পানির উচ্চতাও অনেক বেড়ে গেছে। এতে গাজলডোবা, দোমোহানি, মেখালিগঞ্জ ও ঘিশের মতো নিচু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম