সিলেটে গাউসিয়া কমিটির জশনে জুলুস ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন

গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ সিলেট জেলার উদ্যোগে নগরীতে জশনে জুলুস ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল (র.) এর দরগাহ প্রাঙ্গণ থেকে জশনে জুলুসের শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শোভাযাত্রাটি নগরীর হযরত শাহজালাল (র.) মাজার প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে নগরীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। পরে জালালাবাদ থানার মইয়ারচরস্থ মাদরাসা-এ-তৈয়বিয়া তাহেরিয়া হেলিমিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জুলুসোত্তর আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

গাউসিয়া কমিটির সিলেট জেলার সভাপতি হাফেজ মিসবাহ উদ্দিন চৌধুরী সভাপতিত্বে জুলুসোত্তর আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, গাউসিয়া কমিটির প্রধান উপদেষ্ঠা অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ জালালুদ্দিন আল ক্বাদেরী, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. ওয়ালী মাহমুদ খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, মাওলানা খাজা মঈন উদ্দিন জালালাবাদী, ফজিলাতুন্নেছা মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আহমদ আলী হেলালী, গাউসিয়া কমিটির সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক শাহ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সেনার সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল হক চিশতী।

এয়ারপোর্ট থানার আহ্বায়ক মো. ইলিয়াছ আলী মেম্বার ও এস.এ.এম শহিদুল ইসলাম সেলিম এবং যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ আলীর পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন- গাউসিয়া কমিটির সিলেট জেলার সহ-সম্পাদক ওবায়দুল হক ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন, প্রচার সম্পাদক মুফতি মাহমুদ জায়গীরদার, আব্দুস সোবহান, মো. রাজু চৌধুরী, জালালাবাদ থানার দায়িত্বশীল মাওলানা নুরুল আমিন, মাওলানা আনোয়ার হোসেন আনছারী, লুৎফুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মাওলানা তুহিনুর রহমান শাহজান, তাহেরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সিলেটের সভাপতি মুহা. মাহবুব আলী চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি জুবায়ের আহমদ, সহ-সভাপতি মুহা. সাইফুর রহমান, মুহা. ইমাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মুহা. রাকিবুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. আব্দুল্লাহ, অর্থ সম্পাদক মুহা. আলী আজগর চৌধুরী, সহ অর্থ সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম জুবায়ের, প্রচার সম্পাদক মুহা. লায়েক আহমদ, সহ প্রচার সম্পাদক আশিকুর রহমান রায়হান, আফদ্বল আহমদ, সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান রুবেল প্রমুখ।

পরে খতমে গাউসিয়া ও মিলাদ শরীফ শেষে বাংলাদেশসহ সমস্ত মুসলিম উম্মার শান্তি সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনায় করে মোনাজাত করা হয়।

এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠনে রাসুল (দ.) এর আর্দশিক চেতনার বিকল্প নেই। যেখানে অশান্তি, জঙ্গিবাদ উপস্থিত তার বিপরীতে প্রিয় হাবিবের দর্শনই যথেষ্ট। সর্বত্র রাসুলের (দ.) দর্শন থেকে দূরে থাকার কারণে মানুষ পথভ্রষ্ট হচ্ছে। রাসুল (দ.)এর অনুসরণই সকল সমস্যার সমাধান নিহীত।

জুলুসের যৌক্তিকতা তুলে ধরে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘আমরা যদি রবিউল আউয়াল মাসে নবীজির সম্মানে জশনে জুলুসে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দ.) পালন করি তাহলে অবশ্যই আমরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও নিয়ামত প্রাপ্ত হবো।’

বক্তারা আরো বলেন, প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (দ.) বিশ্ব মানবতার জন্য আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ করুণা ও অনুগ্রহ। মহানবীর আগমন ছিল সকল সৃষ্টির জন্য রহমত, বরকত ও মহা আনন্দের। তিনি সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় তথা সার্বিক দিক থেকে অধঃপতনের চরম সীমায় নিমজ্জিত সমাজকে খোদায়ী নির্দেশনার আলোকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছিলেন। গোটা মানব সমাজকে শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও মানবতার মহান আদর্শে উজ্জীবিত করেছিলেন। তিনি ইনসাফভিত্তিক শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে অনুসরনীয় নজীর স্থাপন করেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের যথাযথ অধিকার নিশ্চিত করে গেছেন।

তাঁর জীবনের প্রতিটি দিকই তাই সকলের জন্য অনুসরণীয়। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে তিনি সারা দুনিয়ার জন্য শ্রেষ্ঠতম আদর্শ।