সিলেটের মিরাবাজারস্থ বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মিনহাজ উদ্দিন আকন্দ (২৫) নামের আরও একজন মারা গেছে। এ নিয়ে এঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হলো।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিনহাজ।
মিনহাজ সিলেট মহানগরের চৌহাট্টা এলাকার আলাউদ্দিন আকন্দের ছেলে। তিনি বিরতি ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী ছিলেন। বৃহস্পতিবার( ২৮ সেপ্টেম্বর) বাদ জোহর দরগাহ মাজার প্রাঙ্গনে জানাযার নামাজ শেষে দরগাহ কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
গত ৫ সেপ্টেম্বর সংঘঠিত এ দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধদের গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। সেখানে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক ও পরদিন (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২) মারা যান।
এরপর গত ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর পৃথক সময়ে সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাঈল গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ (৩২) ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাঁও গ্রামের বাদল দাস (৪০) নামে দুজন মারা যান।
২০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পাম্পের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম মুহিন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সিলেট নগরের পূর্ব মিরাবাজার বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের জেনারেটর কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটে। এতে ৯ জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে ম্যানেজারসহ ৭ জন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কাজ করতেন এবং বাকি দুই জন পথচারী ছিলেন। তাৎক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর দগ্ধ ৯ জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করা হয়। ঢাকায় পাঠানোদের মধ্যে বেশিরভাগের শরীর ১৫-৪০ ভাগ পর্যন্ত পুড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
ঘটনার পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। তবে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের পর এখন পর্যন্ত ৬ জন মারা গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি বা বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।