বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না, চ্যালেঞ্জ শামীম ওসমানের

ক্ষমতার ৫২ হাজার কিলোমিটারের ভেতরে বিএনপি-জামায়াত আসতে পারবে না; এমন মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।

তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের চ্যালেঞ্জ করে বলছি বিএনপি এবং ওই দলগুলো ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ওদের উদ্দেশ্য হচ্ছে মরণ ছোবল দেওয়া।’

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার স্বল্পেরচক এলাকার সমরক্ষেত্র মাঠে ‘দেশ বাঁচাও’ স্লোগানে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষেরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা নামক সম্মান দিয়ে গেছেন। কিন্তু দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে আমাদের কাজটা কী? আমাদের কাজটা হল পুরো দেশের ঘুমিয়ে থাকা মানুষকে জাগিয়ে তোলা। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা দেশপ্রেমিকদের জাগিয়ে তোলা। আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে, ওঠো ঘুমিয়ে থাকা ছাত্র সমাজ, যুব সমাজ ও মা-বোনেরা। জাগো-ওঠো, তোমার দেশ এখন বিপদে আছে। কারণ তোমার স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপর মরে গেলেও আফসোস থাকবে না। কারণ আমি আমার কাজটা করেছি। এরপর যারা বেঁচে থাকবে তারা বাকিটা দেখবে।

তিনি বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘণ্টা বাজাতে চাই। ওয়েক আপ কল। আগে নারায়ণগঞ্জকে জাগিয়ে তুলি তারপর সারাদেশ জেগে উঠবে। আমি জীবনেও নেতা হতে চাই না। আমি বরাবরই কর্মী হতে পছন্দ করি। কারণ নেতাদের স্বার্থ আছে। এই হতে হবে, ওটা পেতে হবে। কিন্তু কর্মীদের কোনো স্বার্থ থাকে না। তাদের স্বার্থ একটাই- স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখা।

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমাদের তোমরা বুঝাও খেলা। আমরা নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় যেয়ে তোমাদের সঙ্গে খেলবো। খেলা হবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। আমি জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, এবার আপনার কথাও শুনবো না। আপনি জাতির পিতার কন্যা, আপনি তাদের সঙ্গে গণতন্ত্রের চর্চা করেন। ওরা আপনাকে হত্যা করার চেষ্ট করে আর আপনি ওদের মাফ করে দেন। তবে এবার আমরা আর মাফ করবো না। আমরা কারো ওপর ভরসা করে রাজনীতি করি না। আমরা ভরসা করি সৃষ্টিকর্তা, দেশের জনগণ ও দলের পোড় খাওয়া নেতাকর্মীদের ওপর।’

তিনি বলেন, একটা ধন্যবাদ আমি বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের দিতে চাই। আমি চাই আপনারা আরও তীব্র আন্দোলন করেন। এতে আমাদের একটা লাভ আছে। এমন হাইব্রিড ঢুকে গেছে আওয়ামী লীগের ভেতরে এরা ওদের আন্দোলন দেখে আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছে। এরা সরে গেলেই আমাদের ত্যাগী পোড় খাওয়া নেতাকর্মীরা সামনে আসবে।

বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধার সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় আরও বক্তব্য দেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা আমিনুর রহমান নিপু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুলাল প্রধান, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান স্মৃতি, বন্দর যুবলীগ নেতা খান মাসুদ, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি মুজাহিদ কবির মৃধা পিয়াস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।