বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে আইনজীবীদের পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আইনজীবীদের সংগঠন ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট ঢাকা বার ইউনিটি আয়োজিত এ পদযাত্রার কর্মসূচী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে শুরু হয়। এরপর মিছিলটি আদালতের সামনের প্রধান সড়কে এলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে আইনজীবীরা রাস্তায় বসে পড়লে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশ আইনজীবীদের লাঠিচার্জ করে। পরবর্তী সময়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা সিএমএম আদালতের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। এসময় তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখান দিয়ে সিএমএম আদালতে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। কিছুক্ষণ সেখানে ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর পুলিশ প্রধান ফটক খুলে দেয়। আইনজীবীরা সিএমএম আদালতের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। কিছুক্ষণ অবস্থান করে তারা সেখান থেকে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে আসেন। তারা সেখানে এসে সমাপনী বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, এটা আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম। প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্দেশে আজ পুলিশ বাহিনী আইনজীবীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ হামলা শুধু আইনজীবীদের ওপর হামলা নয়, আইনের শাসন, মানবাধিকারের ওপর হামলা। আমরা এই হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আইনজীবীরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যতদিন পর্যন্ত সরকারের পতন না হবে ততদিন তারা ঘরে ফিরে যাবে না।
রাজধানীর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, আইনজীবীরা সাধারণত আদালতের ভেতর কর্মসূচি পালন করেন। তারা আজ আদালতের বাইরে এসে কর্মসূচি পালন করেছেন। আমরা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু তারা অতি উৎসাহী হয়ে আমাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে কোতয়ালী জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুহিত সেরনিয়াবাতসহ আমাদের ৫/৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।