হিন্দু ধর্মের মহাবতার পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি তথা শুভ জন্মাষ্টমী আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর)। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে-প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বছর আগে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মহাবতার শ্রীকৃষ্ণ ধরাধামে আবির্ভূত হন। অত্যাচারী ও দুর্জনের বিরুদ্ধে সাধুজনের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কংসের কারাগারে জন্ম নেন তিনি। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ তাই ভগবানের আসনে অধিষ্ঠিত।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে হিন্দু সম্প্রদায়সহ দেশবাসীকে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, আজ থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বছর আগে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভূত হয়েছিলেন। পৃথিবী থেকে দুরাচারী দুষ্টদের দমন আর সজ্জনদের রক্ষার জন্যই তাদের মহাবতার এই দিনে পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন। পাশবিক শক্তি যখন সত্য, সুন্দর ও পবিত্রতাকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই অসুন্দরকে দমন করে জাতিকে রক্ষা এবং শুভশক্তিকে প্রতিষ্ঠার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে।
হিন্দু পঞ্জিকামতে-সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে প্রতি বছর মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পড়ে। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যে, কৃষ্ণ ছিলেন স্বয়ং ঈশ্বর। শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীকে কলুষমুক্ত করতে কংস, জরাসন্ধ ও শিশুপালসহ বিভিন্ন অত্যাচারিত রাজাকে ধ্বংস করেন এবং ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। হিন্দু ধর্মমতে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অপ্রাকৃত লীলাকে কেন্দ্র করেই জন্মাষ্টমী উৎসব।
আজ সরকারি ছুটি। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন-বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
এদিকে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সারাদেশে বিশেষ শোভাযাত্রা আয়োজিত হবে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন মন্দির, মঠ ও পূজামণ্ডপে আয়োজন করা হয়েছে গীতাযজ্ঞ, কীর্তন, আরতি, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম