হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের ধর্ষণে এক কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
এ ঘটনায় মামলার পর রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্ত পরাজার সুন্নিয়া আশরাফ তালুকদার হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনকে ভোরে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাকির হোসেন পরাজার সুন্নিয়া আশরাফ তালুকদার হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সচিব ভুক্তভোগী কিশোরীর ভাই ও বাবা সহ-সভাপতি। সেই সুবাদে জাকির হোসেনের সঙ্গে ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সুবাদে ভুক্তভোগীর বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল ওই শিক্ষকের। একপর্যায়ে জাকির হোসেন কিশোরীর মা-বাবার সঙ্গে ‘ধর্মের বাবা-মা’ পাতান। পারিবারিক ঘনিষ্ঠতার একপর্যায়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন শিক্ষক জাকির।
এ বিষয় কিশোরীর বড় ভাই বলেন, স্ত্রী ও ৪ সন্তান থাকা সত্ত্বেও মাদ্রাসা প্রধান আমার ছোট বোনকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়। পরে জাকির কৌশলে বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন জানান, মামলার পর অভিযুক্ত জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জাকির হোসেন কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেছেন।