চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট এলাকায় অবরোধ শুরু করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা। এতে করে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা এ অবরোধ শুরু করেন। এরপরই রাজধানীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রেললাইন ছেড়ে যাবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মালিবাগে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রংপুর এক্সপ্রেস এবং ঢাকামুখী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন আটকে আছে।
রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দেলোয়ার বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য গত আগস্ট মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু গত মাসে রেলওয়ের মহাপরিচালক আমাদের বলে দিয়েছেন- চাকরি স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা তারা করতে পারবে না। সরকার যদি চায়, তাহলে সরকার নিতে পারবে। কিন্তু আমরা কিছু করতে পারব না।
তিনি বলেন, গত আগস্ট মাসের ৮ তারিখের একটা প্রোগ্রামে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছিলেন- তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বিষয়ে কথা বলবেন। পরে গত ১৬ তারিখে রেলমন্ত্রীর পঞ্চগড়ের বাড়িতে আমরা গিয়েছিলাম। তখন উনি আমাকে বলেন- আমি তো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলিনি। তখন আমি তাকে বললাম- স্যার আপনি তো বললেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। তখন তিনি বলেন- বলছি, বলবো, বলবোনি। মন্ত্রী আমাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে খারাপ আচরণ করেছেন।
এখন রেলওয়ে অস্থায়ী শ্রমিকরা ক্ষেপে গিয়েছে জানিয়ে এ শ্রমিক নেতা বলেন, ২০ তারিখে রেলওয়ের ডিজির কাছে গিয়েছিলাম। রেলমন্ত্রী যা বলেছিলেন তাকে তা জানালাম। আর জানতে চাইলাম, আপনি কী বলেন? উনি বলেছেন- এটা আমি জানি না। আমার দ্বারা সম্ভব না। পরে উনাদের ২৪ তারিখ পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছি। দেখলাম উনারা আমাদের জন্য কিছু করলেন না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত ২৯ তারিখে আমরা দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়েছিলাম। পরে প্রশাসনের মাধ্যমে আমাদের বলা হয়েছিল- ৩০ তারিখের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। কিন্তু পরে আর আলোচনা হয়নি। পরে ৩ তারিখে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছি। সেই ঘোষণা মোতাবেক আমরা আজকে মালিবাগে অবস্থান নিয়েছি।
ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল ১০টা থেকে অবরোধ করা হয়েছে বলে জানি। এখন ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে।