ধোপাদিঘীপাড়ে নির্মিত নান্দনিক ওয়াকওয়ের ইজারা বাতিল ও বাণিজ্যিকীকরণের প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকাল পাঁচটায় নগরীর ধোপাদিঘী ওয়াকওয়ের গেইটে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
ওয়াকওয়ের ইজারা প্রসঙ্গে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, ‘সিলেট নগরীর ধোপাদিঘীপাড়ে নির্মিত ওয়াকওয়েতে নগরবাসীর হাঁটার একটা জায়গা হয়েছিল; কিন্তু এটাকে সিটি করপোরেশন ইজারা দিয়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করছে। আমি গত কয়েক মাস বিদেশে ছিলাম; বুধবার রাতে এখানে হাঁটতে এসে দেখি ওয়াকওয়েতে প্রবেশ ফি দিয়ে টিকেট কেটে প্রবেশ করতে হয়। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই এটিকে লিজ প্রদানের মাধ্যমে; এর ভিতরে চটপটি, ফুচকা, চা এবং জুসের দোকান তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে মানুষজন আর ঠিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারে না। দোকানের চেয়ার দিয়ে হাঁটার জায়গা দখল করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন,‘সিলেট শহরে হাঁটার কোনো একটি জায়গা নেই; যেটা ছিল সেটাও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সিলেটের প্রাচীনতম এই দিঘীটিতে ভারত সরকারের অর্থায়নে নান্দনিক রুপ দেওয়া হয়েছে: তারপর ধোপাদিঘীপাড় ওয়াকওয়ে সবার জন্য উনুক্ত ছিল। সিটি করপোরেশনের ইজারা দেওয়ার বিষয়টি স্থানীয়দের মতামত না নিয়েই করা হয়েছে। সিলেট নগরীর একজন বাসিন্দা হিসেবে ধোপাদিঘী ওয়াকওয়ে সবার জন্য উনুক্ত করার দাবি জানাই।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ধোপাদিঘীপাড় ওয়াকওয়ে সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দা ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পিপি সারওয়ার আহমেদ চৌধুরী আবদাল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি সিলেটর সভাপতি এডভোকেট কিশোর কর, নাগরিক মৈত্রী সিলেটের সভাপতি এডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর, সুজিত বৈদ্যসহ স্থানীয় অনেকে।