সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দিনব্যাপী কৃষক/কৃষানী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুিষ্ঠত হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ও আশারকান্দি ২টি ইউনিয়ন থেকে মোট ৬০ জন কৃষক এ প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জ জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তফা ইকবাল আজাদ।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃআব্দুল কাদির ও বিভেকানন্দ পুরকায়স্থের যৌথ সঞ্চালনায় জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ এর সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি মোস্তফা ইকবাল আজাদ বলেন, প্রতিটি অনাবাদী ও পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে হবে। নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি বাড়িতে পারিবারিক পুষ্টিবাগানের অবদান অতুলনীয় ভুমিকা রাখে। যেখানে গ্রামীণ মা-বোনদের পরিচর্যার মাধ্যমে বেকার জমিটুকুর যেমন সদ্ব্যবহার হয়, তেমনি বছরব্যাপী টাটকা শাক-সবজির আদর্শ উৎস হিসেবে কাজ করে।
তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার অনুপাতে উৎপাদন বাড়াতে প্রযুক্তি নির্ভর চাষাবাদের বিকল্প নেই। নতুন নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের উৎপাদন বৃদ্ধির প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আদিকাল থেকে সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে কাঙ্খিত ফসল পাওয়া যায় না, তাই আমাদের পরিশ্রম বিফলে যায়। পারিবারিক চাহিদা পূরণে কৃষি চাষাবাদকে বানিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করতে হলে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষির যান্ত্রিকীকরণ প্রয়োজন। সেচ-নিষ্কাশন, জমি চাষ, রোপন, কীটনাশক প্রয়োগ, পরিচর্যাসহ ধান কর্তন, মাড়াই-ঝাড়াই এর আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
মোস্তফা ইকবাল আজাদ বলেন, যান্ত্রিকীকরণে যেমন ফলন বেশি, তেমনি সময় ও শ্রম কম লাগে আর কৃষকও লাভবান হয়। তাই পাম্প, পাওয়ার টিলার, পাওয়ার থ্রেসার, স্প্রে মেশিন, রিপার, কম্বাইন্ড হার্ভেষ্টারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।
জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা রোপা আমন ধানের চাষাবাদ ও রোপা আমন এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সার প্রয়োগ, লাইন লগো পার্চিং, পরিচর্যাসহ করণীয় বিষয়ক প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন এবং কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে গুরুত্বারোপ করেন।