বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে কোন দিনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং হারানো গণতন্ত্র ফিরে আসা অসম্ভব।
তিনি বলেন, অভিলম্বে এই সরকরকে পদত্যাগ করতে হবে, অবৈধ সংসদ এবং আজ্ঞাবহ কমিশন ভেঙ্গে দিতে হবে। এছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হবে না।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে নগরীর রেজিস্ট্রারী মাঠে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট মহানগর বিএনপি আয়োজিত কালো পতাকা গণমিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, তারা এত বড় নির্লজ্জ, সারা পৃথিবীতেও তাদের মত আর নির্লজ্জ নেই। ক্ষমতায় টিকে থাকতে এবং লুটপাট করার জন্য তা সব করতে পারে। পদত্যাগের কথা শুনলে ভীত হয়ে যায়, চেয়ারের মায়া ছাড়তে পারে না। দেশবাসী জেগে উঠেছে, পদত্যাগ করতেই হবে, এর বিকল্প নেই।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সাথে আওয়ামী সভা করেছিল। সেই সভায় জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চেয়েছে। সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। তাই মানুষের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন পরিহার করে নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করুন। দেশের মানুষকে মুক্তি দিন।
সমাবেশে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এড. আশিক উদ্দিন আশুক, মামুনুর রশিদ মামুন, ফখরুল ইসলাম ফারুক, একেএম তারেক কালাম, ইকবাল বাহার চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন লস্কর, মিফতা সিদ্দিকী, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, সামিয়া বেগম চৌধুরী, সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, সালেহ আহমদ খসরু, নজিবুর রহমান নজিব, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, আমির হোসেন, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, এড. হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, তাজরুল ইসলাম তাজুল, মামুনুর রশিদ মামুন, আনোয়ার হোসেন মানিক, এড. আবু তাহের, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, সৈয়দ সাফেক মাহবুব, মুর্শেদ আহমদ মুকুল, হুমায়ুন আহমেদ মাসুক, নেওয়াজ বক্ত তারেক, এড. মোমিনুল ইসলাম মোমিন, মকসুদ আহমদ মকসুদ, আবুল কাশেম, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, শাকিল মোর্শেদ, এড. সাঈদ আহমদ, ব্যারিস্টার রিয়াসদ আজিম হক আদনান, শামীম আহমদ, এড. আল আসলাম মুমিন, শামীম মজুমদার, আক্তার রশিদ চৌধুরী, মতিউল বারী খুর্শেদ, আফজাল উদ্দিন, আবুল কালাম, রেজাউল করিম আলো, রেজাউল করিম নাচন, লোকমান আহমদ, তাসনিম শারমিন তামান্না, মকসুদ আহমদ, হাজী আশরাফ আলী, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, এম. মুজিবুর রহমান, এড. মোস্তাক আহমদ, আল মামুন খান, আলী আকবর, আলাউদ্দিন রিপন, স্টালিন, জালাল খান, মাহবুব আলম, নিগার সুলতানা ডেইজি, তাজ উদ্দিন মাসুম, মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বদর, সাদিকুর রহমান সাদিক, মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, মির্জা বেলায়েত হাসান লিটন, আব্দুল হাকিম, শেখ মো. কবির মিয়া, আব্দুর রহিম মল্লিক, নাদির খান, মো. লুৎফুর রহমান মোহন, মন্জুরুল হাসান মন্জু, সুয়াইব আহমদ শোয়েব, আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, মো. তারেক খান, মো. বাচ্চু মিয়া, মো. মিজান আহমদ, অর্জুন ঘোষ, আহাদ চৌধুরী শামীম, দেওয়ান জাকির, মির্জা সম্রাট, আফসর খান, সুদীপ জ্যুতি এষ, নাজিম উদ্দিন পান্না, দেলোয়ার হোসেন দিনার, আব্দুল আহাদ, শাহীন আলম জয়, ডা. নাজিম উদ্দিন, এড. ওবায়দুর রহমান ফাহমী, কুমকুম ফাহিমা, সুলতানা রহমান দিনা, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, আহমদ সোলায়মান, আকবর হোসেন, সুমেল আহমদ চৌধুরী, রায়হান এইচ খাঁন, সারোয়ার হোসেন, হাসান মঈন উদ্দিন আহমদ, ইসলাম উদ্দিন, আব্দুল করিম জোনাক, আফতাব উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম রফিক, ফয়েজ উদ্দিন মুরাদ, সাব্বির আহমদ, মামুন ইবনে রাজ্জাক রাসেল, রুবেল বক্স, আবু সাঈদ মো. তায়েফ, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, মিনহাজ পাঠান, আব্দুস সবুর রাসেল, সুচিত্র চৌধুরী বাবলু, নজরুল ইসলাম, জমজম বাদশা, আব্দুল মালিক সেকু, এ এস এম সায়েম, আব্দুল মন্নান, কামাল আহমদ, শাফিয়া খাতুন মনি, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, রাসেল আহমদ রানা, আবুল মুনতাসের চৌধুরী সাব্বিহ, আব্দুল মুমিন, আকবর হোসেন কয়ছর, ছালেক আহমদ, মিজানুর রহমান রাসেল, রাসেল আহমদ খান, ফরহাদ আহমদ, মতিউর রহমান শিমুল, ফাহিম বক্স, জাহেদ আহমদ প্রমুখ।
সমাবেশের পর নগরীর রেজিস্ট্রারী মাঠ থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। কালো পতাকা গণমিছিলে সিলেট জেলা ও মহান বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেন।