বিশ্বকাপ জয়ের পর স্পেনের নারী ফুটবলার হারমোসোরের ঠোঁটে চুম্বনের কারণে বহিস্কার হলেন স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস।
রবিবার সিডনিতে নারী বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ওলগা কারমনার দল।
তবে শিরোপা উল্লাসে যখন মাতোয়ারা গোটা দেশ, ঠিক তখনই এক ফুটবলারকে প্রকাশ্যে চুমু খেয়ে তোপের মুখে পড়েন দেশটির ফুটবলপ্রধান লুইস রুবিয়ালেস।
সেই চুম্বনে সম্মতি ছিল না বলে জানিয়েছেন হারমোসো। সেটা সত্যি নয় বলে জানিয়েছে ফেডারেশন। তাই হারমোসোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলো তারা। রুবিয়ালস বলেছিলেন যে, হারমোসোর সম্মতি নিয়েই তার ঠোঁটে চুম্বন করেছিলেন তিনি। কিন্তু তা মানতে চাননি হারমোসো।
চুমু কাণ্ডের পর রুবিয়ালসের পদত্যাগ দাবি করা হয়। শুক্রবার ফুটবল প্রধান জানিয়ে দেন, তিনি পদত্যা করবেন না। কারণ হিসাবে রুবিয়ালস বলেন, “হারমোসো পেনাল্টি ফস্কেছিল। তাই আমি ওকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলাম। বলছিলাম ভুলে যাও পেনাল্টির কথা। জিজ্ঞেস করেছিলাম তাকে আমি চুম্বন করতে পারি কি না। ও রাজি ছিল। হঠাৎ করেই হয়েছিল পুরো ঘটনাটা। তবে সম্মতি নিয়েই হয়েছিল। এর পরেও আমাকে ফাঁসানো হবে? আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।
স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী স্ট্রাইকার শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, লুইস রুবিয়ালস যে কথোপকথনের কথা বলেছেন, সেটা সত্যি নয়। আর চুম্বনে আমার সম্মতি ছিল না। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। কর্মক্ষেত্র হোক বা খেলার জায়গা, কোথাও এমন জিনিস হওয়া উচিত নয়। যা ঘটছে, তাতে আমি নিজেকে সুরক্ষিত মনে করছি না। এমন কাজ কখনওই ওই মঞ্চে করা উচিত হয়নি বলে আমি মনে করি। আর আমার সম্মতি ছাড়া এমন কাজ যৌন হেনস্থার সামিল। সোজা কথায়, আমার সম্মানহানি করা হয়েছে।
এরপরই মূলত ফুটবলের সর্বোচ্চ সস্থা ফিফা লুইস রুবিয়ালেসকে সাময়িক বহিস্কারের ঘোষণা দেয়।