ওসমানী হাসপাতালে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আটক ৪

সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উপর হামরা ও ভাঙচুরের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- আবদুল মালিক (৫৪), সাবেল আহমদ, জুবেল আহমদ ও জুয়েল আহমদ।

চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলে সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেল পাঁচটার দিকে হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছেন ওই রোগীর স্বজনেরা।

জানা গেছে, রবিবার (২০ আগস্ট) করোনারি সমস্যা নিয়ে এক রোগী ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার বিকেলে তিনি মারা যান। এ সময় রোগীর সঙ্গে থাকা লোকজন ও স্বজনেরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁরা চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভাঙচুর করে গ্লাস, চেয়ার, টেবিলসহ বেশ কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম ভাঙচুর করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং চারজনকে আটক করে।

এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিলেট মহানগরের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ওসমানী মেডিকেল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। চিকিৎসকের দুটি কক্ষ ও নার্স স্টেশন ভাঙচুর ও কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স, আনসার সদস্যসহ ৪জন আহত হয়েছেন। হামলার ঘটনায় চার জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে, হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখা ‘কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা চাই’ উল্লেখ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার রাত আটটার দিকে পরিষদের সভাপতি মো. রাকিব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানানো হয়।