সুনামগঞ্জের শাল্লায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে বিশাল র্যালী ও শোকসভা পালন করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে র্যালীটি শাল্লা সরকারি কলেজ মাঠ থেকে শুরু করে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পূনরায় কলেজ মাঠে এসে শেষ হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ অলিউল হকের সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব অজয় তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন)।
এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এ্যাড: দিপু রঞ্জন দাস, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ, আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামাপ্রসাদ দাশ, জোতিষ তালুকদার বাদল, পঙ্কজ চৌধুরী, ৩নং বাহাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পিযুজ কান্তি দাস, আটগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন আল কাউসার, দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য নরেশ অধিকারী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য পলাশ সরকার পল্টু, যুবলীগ নেতা সুহেল মিয়া, দিরাই উপজেলা যুবলীগ নেতা রুবেল সরদার, শাল্লা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা শামীম মিয়া ও রোমান মিয়া।
এসময় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এই বাংলাদেশের জন্ম হতো না। আজকে লাখো কোটির স্বাধীন বাঙ্গালী জাতি তৈরি হতো না। আজকে বাঙ্গালী জাতি প্রামণ করে দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর ক্ষয় নেই। বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতির হৃদয়ে এখনো বহমান।
সারা বাংলাদেশে হাজার হাজার মুজিব আদর্শের সৈনিক রয়েছে তারা আজকে এই মহান নেতাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শকে বাস্তবায়ন করার জন্য আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী আজ ঐক্যবদ্ধ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, আজকের এইদিনে বঙ্গবন্ধুসহ তার সর্বজন হারিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার বোন শেখ রেহানা দেশের বাহিরে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে বেঁচে যায়। কিন্তু এই বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে আসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, এই বাঙ্গালীর দিকে চেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বৈরাচার আন্দোলন, আলবদর ও রাজাকার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। এদেশের মানুষের ভাগ্যন্নয়নে তিনি ঝাপিয়ে পড়েন। বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের সোনার বাংলাকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
শোক সভায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ২নং হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ সুয়েব চৌধুরী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল বারী লেলিন, আওয়ামীলের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পিযুজ চৌধুরী, ইউপি সদস্য জহির মিয়া, হারন মিয়া, সত্যব্রত সরকার দ্বিজেন, আমির হামজা, জিয়া মিয়া, নিখিল চন্দ্র দাস, সিরাজ মিয়া, উত্তম দাস, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শুধাংশু চন্দ্র দাস, যুবলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা এসএম জুয়েল প্রমূখ।