পৃথক তিনটি অভিযান চালিয়ে পিতা-পুত্রসহ মানবপাচার চক্রের ০৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত তিনজন হলেন, উপজেলার কবিরখালী গ্রামের হেলাল মাস্টারের ছেলে মো. জামাল উদ্দিন (৪২), ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার হাসনহাটি গ্রামের মৃত শেখ ইসলামের ছেলে গফফার শেখ (৬০) ও তার ছেলে আলামিন শেখ (৩২)।
পুলিশ জানায়, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক সার্কেলের সহাকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক ও দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বদরুল হাসানের তত্ত্বাবধানে থানা পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
এর অংশ হিসেবে ১০ আগস্ট দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের অর্ন্তগত কামারপট্টি এলাকা থেকে মানবপাচার চক্রের সদস্য মো. জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তি ১২ আগস্ট এসআই মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এবং ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মানবপাচার চক্রের আরও ২ সদস্য আলামিন শেখ ও গফফার শেখকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের দেওয়া তথ্য ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিগণসহ এজাহারনামীয় পলাতক আসামিগণ পরস্পর যোগসাজসে ধর্মপাশা উপজেলার নজরপুর গ্রামের নগেন্দ্র সরকারের ছেলে ভিকটিম বিপ্রেস সরকার (২৭) ও দোয়ারাবাজার উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুল কাদির (২৫)কে ভাল কাজের প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে লিবিয়া পাঠায় এবং পরবর্তীতে লিবিয়া থেকে ইতালি পাঠানো প্রলোভন দেখায়। ভিকটিমের পরিবার ইতালি পাঠানোর বিষয় রাজি হলে আসামিগণ ভিকটিমদ্বয়কে ইতালি না পাঠিয়ে লিবিয়ায় অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে নির্যাতন করেতে থাকে এবং ভিকটিমদ্বয়কে মুক্তির কথা বলে তাদের পরিবারের নিকট হতে বিভিন্ন তারিখ সর্বমোট ৫১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা গ্রহণ করলেও ভিকটিমদ্বয়কে মুক্তি না দিয়ে আরও টাকার জন্য নির্যাতন অব্যাহত রাখে।
এ বিষয়ে ভিকটিম বিপ্রেস সরকারের ভাই শংকর সরকার বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের নামের একটি এজাহার দায়ের করলে দোয়ারাবাজার থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়।