ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ : তদন্তকালেই উত্তেজিত প্রধান শিক্ষক

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য এক প্রার্থীর কাছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়ায় অভিযোগে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি তদন্তকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরাশ উদ্দিন বার বার উত্তেজিত কন্ঠে ও আঙ্গুল নাড়িয়ে কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে পুরো উপজেলায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

মাধবপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়কসহ কয়েকটি শুন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে কয়েকজন আবেদন করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরাশ উদ্দিন অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য আব্দুল ওয়াদুদ নামে এক চাকুরি প্রার্থীর কাছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।

এই ঘটনায় আব্দুল ওয়াদুদ মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট একটি লিখিত আবেদন করেন। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাধবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন দুজনকেই হাজির হতে বলেন।

গত ২ আগষ্ট উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে তদন্ত শুরু হয়। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরাশ উদ্দিন সকলের সামনে বার বার আঙ্গুল নাড়িয়ে কথা বলতে দেখা যায়। প্রধান শিক্ষকের এই রকম আচরণে শৃঙ্খলার লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই।

অভিযোগকারী আব্দুল ওয়াদুদ জানান, অফিস সহায়ক পদের জন্য আবেদন করলে প্রধান শিক্ষক ফরাশ উদ্দিন তার নিকট ২ লাখ ৫০হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। তখন উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার নিকট লিখিত অভিযোগ করা হলে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক পুনরায় আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি অনেকের চোখে পড়েনি। শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষকের কাছের লোকজন দেখে আবেদন করেছে।

সেলিম মিয়া নামে একজন জানান, নৈশ প্রহরী পদে তার ভাই আবেদন করেছিল। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ওই পদে সাড়ে ৩ লাখ টাকার একটা চুক্তি হয়।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও ধর্মঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ মিয়া জানান, ফরাশ উদ্দিন বিদ্যালয়টি নিজের মত চালাচ্ছেন। একটি পকেট কমিটি দিয়ে র্দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়টি চালানো হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শুন্য পদে যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া আছে সেটা অনেকেই জানেন না। প্রধান শিক্ষক অনেকের কাছে ঘুষ দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করা হলে তদন্ত করার সময় প্রধান শিক্ষক ফরাশ উদ্দিন উত্তেজিত কন্ঠে আঙ্গুল নাড়িয়ে কথা বলেন।

তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরাশ উদ্দিন।

মাধবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, তদন্তকালে প্রধান শিক্ষক একটু উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিল। এই সময় তাকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।